নারীকর্মীদের নগ্ন হতে বাধ্য করে তল্লাশি!
রাশিয়ার একটি খনিতে নারী শ্রমিকদের নগ্ন করে তল্লাশি করা হচ্ছে। আর এই ধরনের কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা, বিক্ষোভ বা অভিযোগ করলে আরো কঠোর শাস্তির হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সেই শাস্তির নাম ‘গাইনোকলজিক্যাল (স্ত্রীরোগ) চেয়ার’।
নারী শ্রমিকরা মানবাধিকার কমিশন ও সরকারি শ্রম পরিদর্শন দলের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে তাঁরা বলেছেন, তাঁরা মূল্যবান পাথর চুরি করেননি তা নিশ্চিত করতে ‘গুপ্ত পুলিশের মতো হয়রানি’ করছে। নারী শ্রমিকদের ঠান্ডা মেঝের ওপর নগ্ন দাঁড় করিয়ে প্রায় প্রতিদিনই তল্লাশি করা হচ্ছে।’
নারী শ্রমিকদের দাবি, উরাল পর্বতমালায় মালিশেভস্কোয়ি পান্না খনির এই কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করলে তাদের 'স্ত্রীরোগবিদ্যা চেয়ারে’ বসিয়ে অনধিকারমূলক পরীক্ষার হুমকি দেওয়া হয়।
খনির একদল নারী শ্রমিক স্থানীয় এক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘নগ্ন করে এই তল্লাশি চালানোর পদ্ধতি খুবই অমানবিক। এর মানে, কাজের মাঝে আমাদের যে কাউকে এই তল্লাশির জন্য বেছে নেওয়া হতে পারে এবং তাঁকে নগ্ন করে তল্লাশি করার কক্ষে পাঠাতে পারে।’
‘এই ঠান্ডা কক্ষটির কংক্রিটের মেঝে এবং ভাঙ্গা জানালা রয়েছে। এখানে নারীদের পুরোপুরি নগ্ন করে তল্লাশির পাশাপাশি পোশাকের প্রতিটি মিলিমিটার পরীক্ষা করা হয়। আমরা যদি ঠান্ডা মেঝেতে দাঁড়িয়ে তল্লাশি করাতে না চাই তাহলে তারা আমাদের সঙ্গে রূঢ় আচরণ করে। এমনকি ইঙ্গিত দেয় যে, আমরা প্রত্যেকেই এককেজন সম্ভাব্য চোর এবং পান্না বিক্রির জন্য খনির দেয়ালের কাছে ক্রেতাদের অপেক্ষায় রেখেছি।’
সাধারণত নারী নিরাপত্তাকর্মীরাই নগ্ন করে নারী শ্রমিকদের তল্লাশি করে থাকে। কিন্তু প্রায়ই পুরুষ নিরাপত্তাকর্মীরাও তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে থাকে।
নারী শ্রমিকরা আরো অভিযোগ করেন, ‘আমরা গোপন স্থানে রত্ন লুকিয়ে রাখতে পারি পুরুষ নিরাপত্তাকর্মীরা এমন নোংরা ইঙ্গিত দেয় এবং তারা বলেছে নতুন বছর থেকে আমাদের ‘স্ত্রীরোগবিদ্যা চেয়ারে’ বসিয়ে প্রতিদিন তল্লাশি করা হবে।’