নতুন পরমাণু ডুব-ড্রোনের পরীক্ষা চালাল রাশিয়া!
চালকবিহীন ডুবোজাহাজ (ডুব-ড্রোন) নিয়ে বৈপ্লবিক পরীক্ষা চালাল রাশিয়া। দেশটি এমন ডুব-ড্রোনের পরীক্ষা চালিয়েছে যা বিশ্বের সর্ববৃহৎ পারমাণবিক বোমা বহন করতে পারবে। এমন একটি পারমাণবিক অস্ত্র ইংল্যান্ডের মতো বৃহৎ কোনো এলাকাকে ধ্বংসের জন্য যথেষ্ট।
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা রাশিয়ার পরমাণবিক অস্ত্রবাহী ডুব-ড্রোন পরীক্ষার কথা জানিয়েছেন।
মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগনের পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা বলেন, গত ২৭ নভেম্বর ডুব-ড্রোনের পরীক্ষা চালায় রাশিয়া। তবে পরীক্ষাটি সফল নাকি ব্যর্থ তা জানানো হয়নি।
পেন্টাগনের মুখপাত্র ক্যাপেন জেফ ডেভিস মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন ফ্রি বেকনকে বলেন, ডুবোজাহাজ নিয়ে রাশিয়ার সামরিক পরীক্ষার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র নজর রাখছে। অবশ্য পরীক্ষার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান জেফ ডেভিস।
যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রাশিয়ার পরমাণবিক অস্ত্রবাহী ডুব-ড্রোনের সাংকেতিক নাম দেওয়া হয়েছে ‘ক্যানিয়ন’।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্রবাহী ডুব-ড্রোনের কথা প্রথম জানা যায়। অবশ্য দুই মাস পরে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীই একথা নিশ্চিত করে।
চলতি বছরের অক্টোবরে রুশ সামরিক বাহিনী একটি ছবি প্রকাশ করে যেখানে বৃহদাকৃতির পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র দেখা যায়। আরএস-২৮ নামের এই পারমাণবিক অস্ত্রকে বর্তমান বিশ্বের সর্ববৃহৎ বলে দাবি করা হয়। একটি একটি পরমাণবিক বোমা যুক্তরাজ্যের ইংল্যান্ড বা যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক স্টেট ধ্বংস করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।
আরএস-২৮ ক্ষেপণাস্ত্রগুলো রাশিয়ার এসএস-১৮ স্যাটান (শয়তান) ক্ষেপণাস্ত্রের স্থলাভাষিক্ত হবে। ১৯৭৪ সালে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন মূলত ওই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো সামরিক বাহিনীতে যুক্ত করেছিল।
স্নায়ুযুদ্ধ পরবর্তী সময়ের পর থেকে বর্তমানের পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে রাশিয়ার সবচেয়ে তিক্ত সম্পর্ক চলছে। এর জেরে গত বছর থেকে রাশিয়া পারমাণবিক প্রযুক্তির্ উন্নয়ন নিয়ে আগ্রসর হয়েছে।
চরতি বছরের অক্টোবরে রাশিয়াজুড়ে সিভিল ডিফেন্স প্রশিক্ষণ চলেছে, যার লক্ষ্য ছিল পশ্চিমের কোনো পরমাণবিক হামলার জন্য দেশকে প্রস্তুত করা।