সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙা ছিল অপরাধ : গর্বাচেভ
সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে অপরাধ করেছেন বলে স্বীকার করেছেন দেশটির সাবেক নেতা মিখাইল গর্বাচেভ। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে পড়ার সময় তিনি ছিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট।
২৫ বছর পর গুরুত্বপূর্ণ সেই অধ্যায় সম্পর্কে মস্কোতে বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গর্বাচেভ এ কথা বলেন।
অবিভক্ত সোভিয়েত ইউনিয়নের শেষ নেতা মিখাইল গর্বাচেভ বলেছেন, রক্তাক্ত এক গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছিল। পরমাণু অস্ত্রধর একটি দেশে বিপজ্জনক রক্তপাত এড়াতে ২৫ বছর আগে তিনি ক্ষমতা ছেড়েছিলেন।
স্নায়ুযুদ্ধ শেষ করার জন্য সে সময় পশ্চিমাদের প্রশংসা পেয়েছিলেন এই নেতা। ১৯৯০ সালে শান্তিতে নোবেল শান্তি পুরস্কারও পান তিনি। এখন তিনি সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙার জন্য অনুশোচনা করেন।
গর্বাচেভ বলেন, ‘সেটি ছিল অভ্যুত্থান...বিশ্বাসঘাতকতা...অপরাধ। দেশকে গৃহযুদ্ধের দোরগোড়ায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আমাদের মতো একটি পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশে ক্ষমতার লড়াই, বিভেদ কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে আপনি তা কল্পনাও করতে পারবেন না...আমি রক্তপাত এড়াতেই পদত্যাগ করেছিলাম।’
বিবিসি জানায়, ৮৫ বছর বয়সী গর্বাচেভ এখন পশ্চিমা বিশ্বের কড়া সমালোচক হয়ে উঠেছেন। ভ্লাদিমির পুতিনকে দুর্বল করার জন্য পশ্চিমা দেশগুলো উঠেপড়ে লেগেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মিখাইল গর্বাচেভ আরো বলেন, ‘পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমগুলোকে এ ব্যাপারে বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমি নিশ্চিত বিবিসিকেও সেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে.. তারা পুতিনকে ক্ষমতা থেকে সরাতে চায়।’
গর্বাচেভ বলেন, পশ্চিমাদের এই নীতির কারণেই পুতিন দিন দিন রাশিয়ানদের কাছে জনপ্রিয় হচ্ছেন। ৮৬ শতাংশ মানুষ পুতিনকে সমর্থন করে। তাঁর হাত দিয়েই সোভিয়েত ইউনিয়ন শেষ হয়েছিল। কিন্তু এখনো ঘরে বসে সোভিয়েত আমলের গান শোনেন গর্বাচেভ।