স্পেন উপকূলে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নৌকাডুবি
স্পেন উপকূলে আটলান্টিক মহাসাগরে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের বহন করা একটি নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। দেশটির ক্যানারি দ্বীপের কাছের এ ঘটনায় এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে ২৪ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে।
স্প্যানিশ কোস্ট গার্ডের এক মুখপাত্রের বরাতে আজ বুধবার (২১ জুন) এ তথ্য জানিয়েছে ফরাসি সংবাদ সংস্থা এএফপি।
অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে কাজ করা স্পেনের অলাভজনক গ্রুপ ওয়াকিং বর্ডারস বলছে, নৌকাডুবির ঘটনায় সর্বমোট ৩৯ জন ডুবে যায়।
স্প্যানিশ কোস্ট গার্ডের ওই মুখপাত্র বলেন, মরক্কো কর্তৃপক্ষের আহ্বানে দুর্ঘটনাস্থলে স্পেনের কোস্ট গার্ডের একটি হেলিকপ্টার সাহায্যের জন্য যায়। ওই শিশুর মরদেহটি উদ্ধার করেছে মরক্কো কর্তৃপক্ষ।
এএফপি জানিয়েছে, মরক্কোর একটি টহল নৌযান ২৪ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে জীবিত উদ্ধার করেছে। তবে, নৌকাটিতে কতজন অভিবাসনপ্রত্যাশী ছিল সে সম্পর্কে নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি ওই মুখপাত্র।
এদিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে এক পোস্টে ওয়াকিং বর্ডারের হেলেনা ম্যালেনো লেখেন, ‘চার নারী ও এক শিশুসহ নৌকাডুবিতে মোট ৩৯ জন মারা গেছে।’ নৌকাটি সাহায্যের জন্য ১২ ঘণ্টা অপেক্ষা করেছিল বলেও জানান এই নারী।
এ বিষয়ে এএফপির অনুরোধেও কোনো মন্তব্য করেনি মরক্কো কর্তৃপক্ষ।
প্রতিবেদনে এএফপি আরও জানিয়েছে, অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিয়ে নৌকাডুবির ঘটনাটি ঘটেছে গ্রান ক্যানারিয়া দ্বীপ থেকে ১৬০ কিলোমিটার (১০০ মাইল) দক্ষিণ-পূর্বে। পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলো থেকে ইউরোপের প্রবেশের জন্য ক্যানারি দ্বীপের রুটটি ব্যবহার করা হয়। সম্প্রতি অবৈধ অভিবাসনপ্রত্যাশীরা ব্যাপক হারেিএই রুটটি ব্যবহার করছে। ভূমধ্যসাগর রুটে সাম্প্রতিক অভিযানের জন্যও এই রুটটিও অভিবাসনপ্রত্যাশীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠছে।
২০২২ সালে ওয়াকিং বর্ডার থেকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সাগর পথে স্পেনে অবৈধভাবে প্রবেশ করতে গিয়ে ২০১৮ সাল থেকে ১১ হাজার ২০০ অভিবাসনপ্রত্যাশী সাগরে ডুবে মারা গেছে। আর গত সপ্তাহে লিবিয়া থেকে গ্রিসের উদ্দেশ্যে আসা একটি নৌকাডুবে ৮২ অভিবাসনপ্রত্যাশী মারা যায়।