চাঁদের উদ্দেশে মনুষ্যহীন নভোযান পাঠাল ভারত
চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণের জন্য যাত্রা করেছে ভারতের একটি নভোযান। আজ শুক্রবার (১৪ জুলাই) চন্দ্রযান-৩ নামের মনুষ্যহীন নভোযানটি যাত্রা শুরু করে। এই নভোযানটির সফলভাবে উৎক্ষেপণ করেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো)। খবর এএফপির।
এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো চন্দ্র অভিযান করল ভারত। আর এতে সক্ষম হলে পৃথিবীর চতুর্থ দেশ হবে তারা যারা কি না নিজেদের প্রযুক্তিতে চাঁদে অবতরণ করবে।
প্রতিবেদনে ফরাসি সংবাদ সংস্থাটি জানায়, ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের শ্রীহরিকোটায় অবস্থিত সতীশ ধাওয়ান মহাকাশকেন্দ্র থেকে নভোযানটি উৎক্ষেপণ করা হয়। এ সময় সেখানে থাকা হাজার হাজার মানুষ করতালি দিয়ে অভিবাদন জানায়।
মহাকাশ গবেষণায় ব্যয় কমিয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ ভারত। তবে, তা সত্ত্বেও বৈশ্বিক মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান বা দেশগুলোর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লড়ছে দেশটি। চাঁদের পৃষ্ঠে অবতরণের রেকর্ড রয়েছে রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের।
চার বছর আগে চাঁদে নভোযান পাঠিয়েছিল ভারত। তবে, চাঁদে অবতরণের আগ মুহূর্তে ইসরোর সঙ্গে যোগাযোগ হারায় নভোযানটি।
যদি সবকিছু পরিকল্পনামাফিক হয়, তবে আগামী আগস্টের ২৩ বা ২৪ তারিখে এটি চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করবে। অবতরণের পর এটি চন্দ্রপৃষ্ঠে এক চন্দ্রদিবস (১৪ দিন) পর্যন্ত কার্যক্রম চালাবে।
চন্দ্র অভিযান নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে একটি পোস্ট করেছেন ফ্রান্স সফরে থাকা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওই টুইট বার্তায় তিনি বলেন, ‘এই অভিযান আমাদের দেশের আশা ও স্বপ্ন।’
ইসরোর তৈরি চন্দ্রযান-৩ এ বিক্রম নামে একটি ল্যান্ডার রয়েছে। সংস্কৃত ভাষায় বিক্রমের অর্থ বীরত্ব। এ ছাড়া প্রজ্ঞা নামের একটি রোভার রয়েছে। সংস্কৃত ভাষায় যার অর্থ জ্ঞান।
অবতরণের পর বিক্রম থেকে আলাদা হয়ে যাবে রোভার। পরবর্তীতে চন্দ্রপৃষ্ঠে ঘুরে বিশ্লেষণের জন্য ছবি তুলে পৃথিবীতে পাঠাবে এটি। এই রোভারটি এক চন্দ্রদিবস পর্যন্ত নিজের কার্যক্রম চালাতে পারবে।