নাইজারে সামরিক হস্তক্ষেপের পরিকল্পনা আফ্রিকার নেতাদের
পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোর প্রতিরক্ষাপ্রধানরা নাইজারে গত সপ্তাহের অভ্যুত্থানের বিপরীতে সম্ভাব্য সামরিক হস্তক্ষেপের পরিকল্পনা তৈরি করেছেন। পরিকল্পনায় কীভাবে ও কখন সৈন্যবাহিনী মোতায়েন করা হবে তাও চূড়ান্ত করা হয়েছে। খবর আলজাজিরার।
ইকোনমিক কমিউনিটি অব ওয়েস্ট আফ্রিকান স্টেটস (ইকোয়াস) অবশ্য অভ্যুত্থানকারীদেরকে কখন ও কোথায় আঘাত করা হবে, তা প্রকাশ করবে না। তবে শুক্রবার ইকোয়াসের রাজনৈতিক, শান্তি ও নিরাপত্তাবিষয়ক কমিশনার আবদেল-ফাতাউ মুসাহ বলেন, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন জোটের রাষ্ট্রপ্রধানরা।
নাইজেরিয়ার রাজধানী আবুজায় তিন দিনব্যাপী বিশেষ বৈঠক শেষে আবদেল-ফাতাউ মুসাহ বলেন, ‘যেকোনো হস্তক্ষেপে যেতে প্রয়োজনীয় সব উপাদান নিয়ে এখানে কাজ করা হয়েছে। এরমধ্যে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামসহ কীভাবে ও কখন আমরা বাহিনী মোতায়েন করতে যাচ্ছি, সেগুলোও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।’
ইকোয়াস ইতোমধ্যে নাইজারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। দেশটি বলেছে, অভ্যুত্থানের নেতারা রোববারের মধ্যে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমকে ক্ষমতা ফিরিয়ে না দিলে বলে প্রয়োগের অনুমোদন দেওয়া হবে।
১৫ সদস্যের জোটের নেতারা একটি ‘সৌহার্দ্যপূর্ণ সমাধান’ চেয়ে বৃহস্পতিবার নাইজারে একটি প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে। তবে দলটির একটি সূত্র জানায়, বিমানবন্দরে সামরিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে কোনো সাফল্য আসেনি।
আবদেল-ফাতাউ মুসাহ বলেন, ‘আমরা কূটনৈতিকভাবে কাজ করতে চাই এবং আমরা তাদের কাছে স্পষ্ট বার্তা দিতে চাই—তারা যা করেছে, তা থেকে সরে আসার জন্য আমরা তাদেরকে প্রতিটি সুযোগ দিচ্ছি।’
এদিক, শুক্রবার (৪ আগস্ট) সিনেটে নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা টিনুবু তার সরকারকে সৈন্য মোতায়েনসহ বিকল্প উপায়গুলোর জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছেন। এছাড়া সেনেগালও সেনা পাঠানোর কথা জানিয়েছে।
নাইজারের সামরিক শাসকরা বাইরের হস্তক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে বলেছে, তারা পাল্টা লড়াই করবে।
অভ্যুত্থানের নেতা ৫৯ বছর বয়সী আব্দুরহামানে তচিয়ানি ২০০৩ সালে আইভরি কোস্টে সংঘাতের সময় ইকোয়াস বাহিনীর ব্যাটালিয়ন কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তাই তিনি জানেন কী ধরনের অভিযান চালানো হয়। এছাড়া প্রতিবেশী মালি ও বুরকিনা ফাসোর সামরিক নেতাদের কাছ থেকেও সমর্থন পেতে পারেন তিনি। যদিও উভয় দেশই ইকোওয়াস সদস্য, তবে নাইজারের প্রতিরক্ষায় এগিয়ে আসবে বলে জানিয়েছে তারা।