ভূমধ্যসাগর থেকে ৬০ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করল সাইপ্রাস
ভূমধ্যসাগরে সমস্যায় পড়া ৬০ অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে সাইপ্রাস কর্তৃপক্ষ। দেশটির উপকূলের ১৫ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণ-পূর্ব থেকে সোমবার (১৪ আগস্ট) গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়। আজ মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) সাইপ্রাস কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছে, অভিবাসনপ্রত্যাশীরা যে নৌকাটিতে ছিল সেটিতে সমস্যা হয়েছিল। খবর এএফপির।
দেশটির জয়েন্ট রেসকিউ কোঅর্ডিনেশন সেন্টার (জেআরসিসি) জানিয়েছে, উদ্ধার অভিযান সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে আজ। নৌকাটি থেকে ৫৪ পুরুষ, তিনজন মহিলা এবং তিন শিশুকে নিরাপদে তীরে নিয়ে আসা হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সাইপ্রাসের রাজধানী নিকোসিয়ার একটি অভিবাসী কেন্দ্রে নেওয়া হবে বলে জানা গেছে।
এক বিবৃতিতে জিআরসিসি বলেন, ‘স্থানীয় সময় সোমাবার রাত ৮টার দিকে আমরা সমস্যায় থাকা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নৌকাটি সম্পর্কে জানতে পারি। নৌ পুলিশের দুটি দল দুটি নৌযান, দুটি স্পিড বোর্ড, একটি হেলিকপ্টার ও একটি উদ্ধারকারী জাহাজ উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছিল।’
উদ্ধার হওয়া অভিবাসনপ্রত্যাশীরা কোন দেরে নাগরিক বা কোথা থকে নৌকাটি ছেড়েছিল সে সম্পর্কে এখনও কোনো তথ্য জানা যায়নি। পুলিশ শুধুমাত্র উদ্ধারের কথা নিশ্চিত করেছে।
কর্তৃপক্ষ বলছে, ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে অবৈধভাবে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টা বেড়েছে। পাশাপাশি নৌকা করে ইউরোপে প্রবেশকারী অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সংখ্যাও বেড়েছে। ২০২২ সালের প্রথম পাঁচ মাসের তুলনায় চলতি বছরের একই সময়ে ইউরোপে প্রবেশকারী অভিবাসনপ্রত্যাশীর সংখ্যা বেড়েছে ৬০ শতাংশ।
এলিয়েন এবং ইমিগ্রেশন ইউনিটের তথ্যমতে, ইউরোপে আসা বেশিরভাগ অভিবাসনপ্রত্যাশী সিরিয়ার তারতুস বন্দর থেকে রওনা দিচ্ছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশ সাইপ্রাস দাবি করছে, অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আশ্রয় দেওয়ায় ব্লকের মধ্যে সবার শীর্ষে রয়েছে তাদের দেশ। ৯ লাখ ১৫ হাজার জনগণের দেশটির পাঁচ শতাংশই অভিবাসী বলে জানিয়েছে তারা।
এদিকে, আগের তুলনায় সাইপ্রাসে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের আবেদন কমেছে। আগের বছরের মে থেকে জুলাই পর্যন্ত দেশটিতে যত আবেদন পড়েছিল, তা চলতি বছরের একই সময়ের থেকে ৫৩ শতাংশ কম। আগের বছরের চেয়ে চলতি বছরে চার হাজার ৯৭৬ আবেদন কম পড়েছে বলে জানিয়েছে দ্বীপ রাষ্ট্রটি।