বিশাল প্যারেড করে পোল্যান্ডের সামরিক শক্তি প্রদর্শন
কোল্ড ওয়ারের (স্নায়ু যুদ্ধ) পর সবচেয়ে বড় সামরিক প্যারেড করেছে পোল্যান্ড। দেশটির কাছে থাকা অত্যাধুনিক অস্ত্র প্রদর্শন করা হয়েছে।
পোল্যান্ডের প্রতিবেশী দেশ ইউক্রেনে যুদ্ধ চলছে। এই যুদ্ধে ইউক্রেনকে সমর্থন করছে দেশটি। পোল্যান্ড সীমান্তের কাছে ইউক্রেনের এলাকায় আছড়ে পড়ছে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) বিশাল সামরিক প্যারেড করেছে পোল্যান্ড।
১৯২০ সালে ওয়ারশ যুদ্ধে জয়ের বার্ষিকীতে এই প্যারেড করা হলো। পোল্যান্ডের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘১৫ অগাস্ট আমরা শুধু ওই যুদ্ধের শহীদদের স্মরণই করি না, বর্তমান সৈন্যদেরও সম্মান জানাই। তারা দেশকে রক্ষা করছেন। সেই সঙ্গে আমরা আমাদের সামরিক শক্তি কতটা, সেটাও বিশ্বকে জানাই।’
প্যারেডে প্রায় দুই হাজার সেনা অংশ নেন। পোল্যান্ড ছাড়াও ন্যাটো দেশগুলোর সেনাও ছিল। প্যারেডে ২০০টি অস্ত্রশস্ত্র ও প্রতিরক্ষা সামগ্রী দেখানো হয়।
এর মধ্যে প্রধান ছিল যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি আবরাম কামান, দক্ষিণ কোরিয়ায় তৈরি কে টু কামান ও কে৯ সেলফ প্রপেলড হাওইটজার, মার্কিন মোবাইল আর্টিলারি সিস্টেম, এফ১৬, এফএ৫০ জেট ও প্যাট্রিয়ট এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম।
ল অ্যান্ড জাস্টিস পার্টির নেতৃত্বে পোল্যান্ডের দক্ষিণপন্থী সরকার এখন প্রতিরক্ষার জন্য অনেক বেশি অর্থ খরচ করছে। তারা গত দুই বছরে ট্যাংক, মিসাইল, ফাইটার জেট ও অন্য সমরাস্ত্র কিনতে এক হাজার ৬০০ কোটি ডলার খরচ করেছে।
দেশটির সরকার জানায়, তারা প্রতিরক্ষা খাতে খরচ দ্বিগুণ করবে। পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট ডুডা বলেন, এটাই মানুষের অগ্রাধিকার। তাদের সুরক্ষা দিতেই এই অর্থ খরচ করা হচ্ছে।