লিবিয়ায় রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ে আফ্রিকান ইউনিয়নের গভীর উদ্বেগ
এ সপ্তাহে লিবিয়ায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আফ্রিকান ইউনিয়ন (এইউ)। পাশাপাশি শত্রুতার আশু পরিসমাপ্তি ও পুনর্মিলনের উদ্যোগ নেওয়ার ডাক দিয়েছে সংস্থাটি।
লিবিয়ার গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাতে নতুন করে শুরু হয় এই সংঘাত। যাতে প্রাণ হারায় ২৭ জন আর আহত হয় ১০৬ জন। দেশজুড়ে বিবাদে জড়িয়ে থাকা পক্ষগুলোর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে এ বছর ৫৫ জন প্রাণ হারিয়েছে এবং আহত হয়েছে আরও ১৪৬ জন। খবর এএফপির।
এক বিবৃতিতে প্যান-আফ্রিকান এই সংস্থাটির প্রধান মুসা ফাকি মাহামাত জানান, লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আফ্রিকান ইউনিয়ন গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।
বিবৃতিতে ফাকি আরও বলেন, ‘আমরা লিবিয়ার সকল সামরিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন ও সংস্থার প্রতি এই শত্রুভাবাপন্ন পরিস্থিতির অবসানের আহ্বান জানাচ্ছি…পাশাপাশি সকল পক্ষের প্রতি জাতীয় সংহতির জন্য পদক্ষেপ নিতে ও বিষয়টির গুরুত্ব তুলে ধরার বিষয়টি মনে করিয়ে দিচ্ছি।’
ফাকি মাহামাত হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘লিবিয়ার ঐক্য, শান্তি, স্থিতিশীলতা ও ঐতিহাসিক আন্তর্জাতিক মর্যাদা কেবলমাত্র শান্তিপূর্ণ উপায়ে অর্জন সম্ভব, কোনোভাবেই সামরিক উপায়ে নয়।’
২০১১ সালে ন্যাটো সমর্থিত বিদ্রোহে লিবিয়ার দীর্ঘদিনের স্বৈরশাসক মোয়াম্মার গাদ্দাফীকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর তৈরি হওয়া অগুনতি মিলিশিয়া বাহিনীর মধ্যে দুটি বড় পক্ষ এ সপ্তাহে দেশটিতে আবারও ক্ষমতা দখল ও ক্ষমতায় টিকে থাকার লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়ে।