ওয়াগনারকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ আখ্যা দিয়ে নিষিদ্ধ করল যুক্তরাজ্য
রুশ ভাড়াটে সৈন্যদল ওয়াগনার গ্রুপকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে যুক্তরাজ্য। পাশাপাশি রাশিয়ার হয়ে ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নেওয়া এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে দেশটি। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্র্যাভারম্যানের বরাতে মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যমগুলো। খবর এএফপির।
এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ গণমাধ্যম ডেইলি মেইল জানায়, যুক্তরাজ্য ওয়াগনার গ্রুপকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অধীনে একটি নিষিদ্ধ সংগঠনে পরিণত করতে প্রস্তুত। এর মাধ্যমে জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট ও আল-কায়েদার কাতারে চলে যাবে ভাড়াটে সৈন্যদলের এই গ্রুপটি।
ব্র্যাভারম্যানের উদ্ধৃতি দিয়ে গণমাধ্যমটি বলছে, ‘ওয়াগনার একটি সহিংস ও ধ্বংসাত্মক সংগঠন। এটি বিদেশে ভ্লাদিমির পুতিনের রাশিয়ার সামরিক হাতিয়ার হিসেবে কাজ করেছে। পুতিনের শাসনব্যবস্থা যে দানবকে সৃষ্টি করেছে, তাদেরই এর ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করতে হবে। ক্রেমলিনের রাজনৈতিক লক্ষ্য পূরণের জন্য ওয়াগনারের অব্যাহত অস্থিতিশীল কর্মকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে।’
এএফপি জানিয়েছে, কোনো সংগঠন সন্ত্রাসী কাজে লিপ্ত মনে করলে সেটিকে সন্ত্রাসবাদ আইন ২০০০ এর অধীনে দেশটি ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে আখ্যা দিতে পারে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্র্যাভারম্যানের উদ্ধৃতি দিয়ে বিবিসি বলছে, ‘তারা সন্ত্রাসী। এটি একদম সহজ সমীকরণ। এই নিষেধাজ্ঞা আদেশ যুক্তরাজ্যের আইনকে প্রতিফলিত করে। ওয়াগনার লুটপাট, অত্যাচার ও বর্বর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল।’
ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘গ্রুপটি ইউক্রেন, মধ্য প্রাচ্য ও আফ্রিকায় নিজেদের কার্যক্রম চালিয়েছে, যা বৈশ্বিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি।’
গণমাধ্যমগুলো বলছে, ওয়াগনার গ্রুপকে সন্ত্রাসবাদ আইনের অধীনে নিষিদ্ধ করতে বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) পার্লামেন্টে একটি বিল উত্থাপন করা হবে। গত জুলাইয়ে রাশিয়ার ভাড়াটে সৈন্যদলটির সঙ্গে সংযুক্ত ১৩ ব্যক্তি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল যুক্তরাজ্য সরকার।