জি-২০ সম্মেলন শুরু, মোদির নেমপ্লেটে লেখা ‘ভারত’
বিশ্বের বৃহৎ অর্থনীতির দেশগুলোর জোট জি-২০ এর সম্মেলন ভারতে শুরু হয়েছে। আজ শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে প্রগতি ময়দানের ভারত মান্দাপাম কনভেনশন সেন্টারে এই সম্মেলন শুরু হয়। এই সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেমপ্লেটে ‘ইন্ডিয়া’র পরিবর্তে ‘ভারত’ লেখা হয়েছে। আর এতেই দক্ষিণ এশিয়ার বৃহৎ দেশটির নাম পরিবর্তনের বিষয়টি আরও স্পষ্ট হলো। খবর এনডিটিভির।
প্রতিবেদনে ভারতীয় গণমাধ্যমটি জানায়, বিশ্ব নেতাদের জি-২০ সম্মেলনের আমন্ত্রণপত্রে ইন্ডিয়ার পরিবর্তে ভারত নামে পাঠায় দেশটির প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মু। এতে করে দেশটির মধ্যে বিশাল রাজনৈতিক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
চলতি মাসেই ভারতের পার্লামেন্টের বিশেষ অধিবেশন বসবে। এই অধিবেশনে দেশের নাম পরিবর্তনের বিষয়ে একটি রেজুলেশন আনতে পারে নরেন্দ্র মোদির সরকার। ওই রেজুলেশনে দেশটির নাম আনুষ্ঠানিকভাবে শুধু ভারত করা হতে পারে। আজকের মোদির নেমপ্লেটে ভারত লেখা সেই ধারণাকে আরও স্পষ্ট করছে।
জি-২০ সম্মেলনে অংশ নেওয়া বিদেশি প্রতিনিধিদের জন্য একটি বই প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানেও দেশের নাম ভারত উল্লেখ করা হয়েছে। বইটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ভারত, দ্য মাদার অব ডেমোক্রেসি’। বিদেশি প্রতিনিধিদের দেওয়া ওই বইয়ে বলা হয়, ‘ভারত দেশের সরকারি নাম। ১৯৪৬ থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত হওয়া সংবিধান আলোচনায় বিষয়টি রয়েছে।’
এদিকে, ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের দেশের নাম পরিবর্তনের ইস্যুটির সমালোচনা করছে বিরোধী রাজনীতিকরা। সম্প্রতি আত্মপ্রকাশ হওয়া ভারতের বিরোধী দলগুলোর নতুন জোট ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টাল ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স (ইন্ডিয়া) বলছে, মোদি সরকার আমাদের ইতিহাসকে বিকৃত করছে। একইসঙ্গে ইন্ডিয়াকে বিভক্ত করে ফেলছে।
তবে, বিরোধীদের সমালোচনার পাল্টা জবাব দিয়ে বিজেপি নেতারা বলছেন, তারা জাতীয়তা ও সংবিধান বিরোধী। কেন্দ্রীয় সরকারের মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, ‘ইন্ডিয়া নামটি ঔপনেবেশিক দাসত্বের প্রতীক। আর ভারত ঔপনিবেশিক মানসিকতার বিরুদ্ধে একটি বড় জবাব। নাম পরিবর্তন আরও আগে হওয়া উচিত ছিল।’