তাইওয়ানের চারপাশে চীনের ২৮ যুদ্ধবিমান
তাইওয়ানের চারপাশে চীনের ২৮টি যুদ্ধবিমান শনাক্ত করা গেছে। এর মধ্যে তাইওয়ান প্রণালির মধ্যরেখা অতিক্রম করেছে। এই রেখাকে দুই দেশের মধ্যে অলিখিত সীমানা মনে করা হয়। তাইপে কর্তৃপক্ষ আজ রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছে। খবর এএফপির।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় (এমএনডি) জানিয়েছে, আজ ভোরের দিকে চীনের ২০টি যুদ্ধবিমান শনাক্ত করা হয়। শনাক্ত করা সবগুলো যুদ্ধবিমান মধ্যরেখা অতিক্রম করেছে। স্বশাসিত দ্বীপটির দক্ষিণ-পশ্চিম ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে থাকা আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা যুদ্ধবিমানগুলোকে শনাক্ত করে।
এক বিবৃতিতে এমএনডি বলছে, চীন দীর্ঘ পরিসরের যৌথ মহড়া চালাচ্ছে। টহল বিমান ও জাহাজের মাধ্যমে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে তারা।
চীন-তাইওয়ানের বিরোধ বেশ পুরোনো। তাইওয়ানকে নিজেদের মূল ভূখণ্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশ মনে করে বেইজিং। তাইওয়ান নিয়ে এক নীতি অবস্থানে রয়েছে তারা। তবে, তাইওয়ান চায় স্বাধীনতা ও স্বশাসন। এ বিরোধে তাইওয়ানের পাশে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমারা। তাই এ বিরোধ এখন আর আঞ্চলিক ভূরাজনৈতিক নয়, বরং আন্তর্জাতিক রূপ নিয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। অপরদিকে, তাইওয়ান প্রণালীতে বিদেশি হস্তক্ষেপ পছন্দ নয় চীনের।
এএফপি জানিয়েছে, সাম্প্রতি বছরগুলোতে তাইওয়ানে সামরিক ও রাজনৈতিক প্রভাব চরমভাবে বিস্তার করছে বেইজিং। প্রায়শ তাইওয়ান প্রণালীতে নৌমহড়া ও যুদ্ধবিমান দিয়ে মহড়া চালায় তারা। আর এমনটা করা হয় এমন সময়ে যখন কি না তাইপে কোনো কূটনৈতিক তৎপরতা চালায়।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরী ও কানাডার রণতরী তাইওয়ান প্রণালিটি পাড়ি দেয়। এরপর থেকেই প্রণালির আশেপাশে চীনের মহড়া বেড়েছে। গত সপ্তাহে এমএনডি জানিয়েছিল, গত বুধবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ৬৮ যুদ্ধবিমান ও ১০ যুদ্ধজাহাজ প্রণালির আশেপাশে শনাক্ত করা গেছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি যুদ্ধবিমান ও যুদ্ধজাহাজ প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিম দিকে গিয়েছে। সেখানে যৌথ মহড়া চালাচ্ছে চীন। সাগরের সেই অংশে চীনের বিমানবাহী রণতরী শাংডং রয়েছে।
তাইপে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত সোমবার তাইওয়ানের প্রায় ৬০ নটিক্যাল মাইল (১০০ কিলোমিটার) দক্ষিণ-পূর্বে শনাক্ত করা গিয়েছিল রণতরী শাংডং। নৌযানটি প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিমের দিকে যাচ্ছিল। তবে, মহাসাগরে চলা মহড়া নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি বেইজিং।