আগেই ভারতকে গোয়েন্দা তথ্য দিয়েছিল কানাডা
শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হরদ্বীপ সিং নিজ্জার হত্যার ঘটনায় কানাডা ও ভারতের সম্পর্ক তলানির দিকে যাচ্ছে। এ ঘটনায় দুদেশে অবস্থানরত কূটনীতিককে বহিষ্কারও করেছে প্রভাবশালী দেশ দুটি। ভারতের অভিযোগ, কূটনীতিক বহিষ্কারের আগে নিজ্জার হত্যায় কোনো তথ্য দেয়নি অটোয়া। তবে, এসব অভিযোগ অস্বীকার করছে অটোয়া কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, সপ্তাহ খানেক আগেই গোয়েন্দা তথ্য দিল্লিকে দেওয়া হয়েছে। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
প্রতিবেদনে ভারতীয় গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, ‘নিজ্জার হত্যায় ভারতীয় এজেন্টরা যুক্ত ছিল এমন সব তথ্য সপ্তাহখানেক আগেই নয়াদিল্লিকে দেওয়া হয়েছিল।’ দেশটির স্থানীয় সময় শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘কানাডা বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগগুলো ভারতের সঙ্গে ভাগ (শেয়ার) করেছে। আমি গত সোমবার বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছি।’
ভারত থেকে কানাডায় গিয়ে সেখানকার নাগরিকত্ব পান খালিস্তানপন্থি শীর্ষ নেতা নিজ্জার। নিজ্জারকে মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসীদের তালিকাভুক্ত করে তার মাথার জন্য নগদ ১০ লাখ রুপি পুরস্কার ঘোষণা করেছিল ভারত। ১৮ জুন কানাডার পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার সারি শহরের একটি গুরুদুয়ারার বাইরে দুই অজ্ঞাত বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হন তিনি। নিজ্জরের হত্যার জন্য ভারতকে দায়ী করে গত ১৮ সেপ্টেম্বর কানাডার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে ভাষণ দিয়েছিলেন ট্রুডো। ভাষণে তিনি বলেন, ‘‘কানাডার গোয়েন্দারা নিজ্জারের মৃত্যু ও ভারতের মধ্যে একটি ‘বিশ্বাসযোগ্য’ যোগসূত্র শনাক্ত করেছে। কানাডার মাটিতে একজন কানাডার নাগরিককে হত্যার সঙ্গে বিদেশি সরকারের যেকোনো ধরনের সম্পৃক্ততা আমাদের সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন, যা অগ্রহণযোগ্য।’’
তবে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেছিলেন, ‘অভিযোগ করার আগে বা পরে কানাডা কোনো তথ্য প্রমাণ ভারতকে দেয়নি। আমরা বলেছি, কোনো নির্দিষ্ট তথ্য পেলে দেখব। এখনও কিছু পাইনি। আমাদের পক্ষ থেকে কানাডাকে কিছু ব্যক্তির ভারতবিরোধী কাজের নির্দিষ্ট তথ্য দিয়েছি। কিন্তু, তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।’