কলকাতার ইন্দো-বাংলা প্রেসক্লাবে ইলিশ উৎসব
বাংলাদেশের ইলিশ নিয়ে বরাবরই বাড়তি উন্মাদনা থাকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সব বাঙালির। এই ইলিশের রসনার স্বাদে মজতে ঠেকানো যায় না কারও। আর এই রুপালি ইলিশ নিয়ে অন্যান্য বছরের মতো এ বছরেও শারদীয় উৎসবের সূচনালগ্নে উৎসবে মাতলো কলকাতার সিআইটি রোডে অবস্থিত ইন্দো-বাংলা প্রেসক্লাব। বাংলাদেশের রূপালি ইলিশ আর কলকাতার বিখ্যাত মিষ্টি রসগোল্লা ছিল উৎসব ঘিরে।
ইন্দো-বাংলা প্রেসক্লাবের মূল উদ্দেশ্য দুই বাংলার ভালো সম্পর্ক বজায় রাখা। বাংলাদেশের সাংবাদিকরা যদি কলকাতায় এসে কোনো রকম সমস্যায় পড়েন তাহলে তাদের পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন উৎসবের আয়োজকরা।
আজ রোববারের (২৪ আগস্ট) এই অনুষ্ঠানে প্রেসক্লাবের সদস্যদের ভার্চুয়ালি বার্তা দেন বাংলাদেশের পটুয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ মুহিব্বুর রহমান। বার্তায় তিনি বলেন, ‘ইন্দো-বাংলা প্রেসক্লাবের সঙ্গে দাঁড়াতে পেরে এবং আজীবন সদস্য হতে পেরে আমি গর্বিত। উন্নত থেকে উন্নততর বাংলাদেশ গড়তে আমরা আশা করব আপনারা সবাই আমাদের পাশে দাঁড়াবেন। আমি চাই ইন্দো-বাংলা প্রেসক্লাব এই দুই বাংলার সেতু বন্ধনের মাধ্যমে পরস্পরের আদান-প্রদানে কাজ করবে।’
অনুষ্ঠানে ইন্দো-বাংলা প্রেসক্লাবের কনভেনার ভাস্কর সরদার বাংলাদেশের রুপালি ইলিশ উপহার দেওয়ার জন্য পটুয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মুহিব্বুর রহমানকে ধন্যবাদ জানান।
এই ইলিশ উৎসব নিয়ে ইন্দো-বাংলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শুভজিৎ বলেন, আগামী দিনেও আমরা ইলিশ উৎসব চালিয়ে যেতে চাই। প্রেসক্লাবের যত সদস্য আছে তাদের সকলের হাতে বাংলাদেশের এই উপহার তুলে দিতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। আমরা দুই দেশের সঙ্গে সেতু বন্ধনের কাজ করি।
ইন্দো-বাংলা প্রেসক্লাবের সদস্যরাও জানান, তারা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর এই উপহার পেয়ে ভীষণ খুশী।
উৎসবে কলকাতার ইন্দো-বাংলা প্রেসক্লাবের প্রত্যেক সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয় বাংলাদেশের পদ্মার রুপালি ইলিশ এবং কলকাতার ঐতিহ্যবাহী মিষ্টি রসগোল্লা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ইন্দো-বাংলা প্রেসক্লাবের সদস্যরা নিজেদের মধ্যে মতবিনিময় করা ছাড়াও সেখানে আড্ডায় মেতে উঠেন নানান প্রসঙ্গ নিয়ে।