ইসরায়েল-হামাস সংঘাতে বাড়ছে জ্বালানির দাম
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সংঘাতের প্রবাব পড়েছে জ্বালানি তেলের বাজারে। এই সংঘাতের জেরে বিশ্ববাজারে বেড়েছে তেলের দাম। মূলত, তেল সমৃদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতের শঙ্কায় এমনটি হচ্ছে। জ্বালানির বজারে প্রভাব পড়লে ইক্যুয়িটি বাজারে ইসরায়েল-হামাস সংঘাত এখনও প্রভাব ফেলতে পারেনি। খবর এএফপির।
ফরাসি সংবাদ সংস্থাটি আজ সোমবার (৯ অক্টোবর) প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানায়, দিনের প্রথম দিকে এশিয়ার বাজারে অপরিশোধিত তেল ব্রেন্ট ক্রুড ও ইউএস টেক্সাস ইটারমিডিয়েট ক্রুডের (ডব্লিউটিআই) দাম পাঁচ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছিল। তবে, পরবর্তীতে তা কিছুটা কমে।
ইসরায়েল ও হামাসের ক্রমবর্ধমান সংকটট বিশ্বব্যাপী ইক্যুইটি বাজারে বড় একটি ধাক্কার বিষয়টি স্পষ্ট করেছিল। যদিও জ্বালানি কোম্পানিগুলো উচ্চ তেলের দামে খুশি। কারণ, এতে তাদের তাদের মুনাফা ও রাজস্ব বাড়বে। এ ছাড়া ভূরাজনৈতিক এই সমস্যার জেরে মার্কিন মুদ্রা ডলার, জাপানি মুদ্রা ইয়েন ও সুইজারল্যান্ডর মুদ্রা ফ্যাঙ্কের মান আগের তুলনায় বেড়েছে। স্বর্ণের বাজারও ঊর্ধ্বমুখী। কারণ, বিনিয়োগকারীরা এসব মুদ্রা ও স্বর্ণে বিনিয়োগে আকৃষ্ট হচ্ছেন।
এদিকে, এই সংঘাতের জেরে বেশ কয়েকটি এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ জোরেসোরে ধাক্কা খেয়েছে। ইসরায়েলে ফ্লাইট বাতিলেই এমনটি হয়েছে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের। দাম কমেছে এয়ার ফ্রান্স-কেলেএম এয়ারলাইন্সের। এই কোম্পানিটির শেয়ারের দাম কমেছে আট শতাংশ। আর ব্রিটিশ এয়াররওয়েজ, আবেরিয়া, ভুয়েলিং ও অ্যার লিঙ্গুস এয়ারলাইন্সের শেয়ারের দাম লন্ডনে কমেছে ছয় শতাংশ পর্যন্ত। জার্মানির লুফথানসা এয়ারলাইন্সের শেয়ারের দাম কমেছে চার দশমিক তিন শতাংশ।
জ্যেষ্ঠ বাজার বিশেষজ্ঞ কারিগ এরলাম বলেন, ‘হামাসের আকস্মিক আক্রমণ মধ্যপ্রাচ্যকে আরও অস্থিতিশীল করে তুলছে। এই উদ্বেগ এমন সময়ে বেড়েছে যখন কিনা তেলের প্রবাহ ব্যাহত হচ্ছিল।’
এএফপির তথ্যমতে, গ্রিনিচ মান অনুযায়ী সময় ১৫৪৫-এ চার শতাংশ বেড়ে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ব্যারেল প্রতি ছিল ৮৭ দশমিক ৯৬ ডলার। চার দশমিক এক শতাংশ বেড়ে ডব্লিউটিআই ক্রুডের দাম ব্যারেল প্রতি ছিল ৮৬ দশমিক ২০ ডলার।