ইলন মাস্কের ‘এক্স’-এ বেড়েছে বিদ্বেষ প্রচার
লিঙ্গরূপান্তরকামী, সমকামী, বর্ণবাদী ও ইহুদিদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ প্রচার বেড়েছে ইলন মাস্কের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘এক্স’-এ (টুইটার)। সম্প্রতি জার্মান বর্ণবিদ্বেষবিরোধী সংস্থা ফেডারেল অ্যান্টি-ডিসক্রিমিনেশন এজেন্সি (এফএডিএ) জানিয়েছে, এক্স-এ সাম্প্রতিক সময়ে হেট স্পিচ ‘ব্যাপকভাবে’ বেড়েছে।
বিশেষ করে টেসলার প্রধান ইলন মাস্ক এক্সের (টুইটার) মালিকানা পাওয়ার পর থেকে ব্যাপকভাবে বেড়েছে এই সামাজিক মাধ্যমে বিদ্বেষপূর্ণ, ঘৃণা ছড়ায় এমন মন্তব্য।
এক বিবৃতি দিয়ে এফএডিএ জানায়, বিশেষ করে লিঙ্গরূপান্তরকামী ও সমকামীদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষের প্রচার দেখা যাচ্ছে এক্সে। এ ছাড়া এই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বর্ণবাদী, ইহুদিবিদ্বেষী ও অন্যান্য সমাজবিরোধী আচরণ।
এফএডি এজেন্সির কমিশনার ফেরদা আটামান বলেন, ‘অন্যান্য দেশের সরকার ও সরকারি সংস্থাদের ভেবে দেখা উচিত, তারা এমন একটা প্ল্যাটফর্মে থাকতে চান কি-না। এই সামাজিক মাধ্যমটি গুজব ছড়ানোর আস্তানায় পরিণত হয়েছে।’
আটামান বলেন, ‘প্ল্যাটফর্মটিকে নিরাপদ করতে এই খাতে আরও বিনিয়োগ দরকার।’
শনিবার হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি সেনার আক্রমণ শুরু হবার পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটিতে প্রচুর ভুয়া খবর, গুজব ও নকল ছবি দেখা গেছে। জার্মান রাজনীতিকরা এখন পর্যন্ত এক্স ছেড়ে বেরিয়ে আসার পক্ষে নন। কারণ এই প্ল্যাটফর্ম যত দ্রুত মানুষের কাছে নিয়ে যেতে পারে, তার বিকল্প এখনও নেই। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, যেমন অর্থ, স্বরাষ্ট্র বা পররাষ্ট্র, তাদের এক্স বা টুইটার হ্যান্ডেল চালু রেখেছে। খোদ জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ বা জার্মান সরকারেরও রয়েছে আলাদা এক্স হ্যান্ডেল।
সম্প্রতি ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন জানায়, তারা সহিংসতাকে আশকারা দেয় এমন কন্টেন্টের পাশাপাশি ভুয়া খবর নিয়ে ইলন মাস্ককে সতর্ক করেছে।
ইইউ'র ইন্টারনাল মার্কেট চিফ থিয়েরি ব্রেটন এক্সকে একটি চিঠিতে ‘সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের' সঙ্গে যোগাযোগ করে ২৪ ঘন্টার মধ্যে পদক্ষেপ নেবার কথা বলেন।
এক্স জানায়, এই সব বিষয়ে তারা ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছে ও পদক্ষেপ নিয়েছে।