আদালতকক্ষ রাজনৈতিক মঞ্চ নয় : ট্রাম্পকে বিচারক
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্দেশে নিউইয়র্কের একটি আদালতের বিচারক আর্থার এনগোরান বলেছেন, আদালতকক্ষ রাজনৈতিক মঞ্চ নয়। সেখানে বিচারকের প্রশ্নের উত্তর ট্রাম্পকে দিতেই হবে।
স্থানীয় সময় সোমবার (৬ নভেম্বর) ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যবসায় জালিয়াতি সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে এ কথা বলেন বিচারক।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ঋণ নেওয়ার সময় নিজের ব্যবসা এবং সম্পত্তির মূল্যায়ন বা ভ্যালু কমিয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প। আবার সম্পত্তি বিক্রির সময় সেই ভ্যালু অনেকটা বাড়িয়ে দিয়েছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ নিয়ে নিউইয়র্কের আদালতে মামলাটি চলছে। প্রাথমিকভাবে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টকে এ মামলায় দোষী ঘোষণা করেছেন বিচারক। সোমবার আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য কাঠগড়ায় উঠেছিলেন ট্রাম্প। সেখানে বিচারক সরাসরি তাকে প্রশ্ন করেছেন।
শুনানিতে বিচারক যে প্রশ্নই করেছেন, ট্রাম্প তার জবাব ঘুরিয়ে দিয়েছেন। অধিকাংশ সময় একই কথা বারবার বলে গেছেন। এ নিয়ে বিচারক আর্থার এনগোরানের সঙ্গে বেশ কয়েকবার তর্কাতর্কি হয় ট্রাম্পের।
ইতোমধ্যে বিচার ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলা এবং আদালতের অবমাননার দায়ে দু’বার জরিমানাও করা হয়েছে ট্রাম্পকে।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, আর্থার কখনোই তার পক্ষে রায় দেন না। ট্রাম্পকে অপমান করার জন্যই তিনি আছেন। ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে ট্রাম্পকে রাজনৈতিকভাবে বিপাকে ফেলার জন্যই তার বিরুদ্ধে এই বিচার চলছে।
জবাবে বিচারক আর্থার এনগোরান বলেন, আদালতের বাইরে গিয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট তার বিরুদ্ধে যত খুশি অভিযোগ আনতে পারেন। কিন্তু, আদালতকক্ষ রাজনৈতিক মঞ্চ নয়। সেখানে বিচারকের প্রশ্নের উত্তর ট্রাম্পকে দিতেই হবে। ট্রাম্প আদালতের সময় নষ্ট করছেন বলেও এদিন মন্তব্য করেন বিচারক।
এ মামলায় ট্রাম্পকে ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার জরিমানা করা হতে পারে। নিউইয়র্কে তার ব্যবসাও বন্ধ হয়ে যেতে পারে। আগামী দিনে তিনি বা তার পরিবার নিউইয়র্কে আর কোনো ব্যবসাই করতে পারবেন না। তবে, তার বিরুদ্ধে চলা অন্য মামলাগুলোর সঙ্গে একটি ক্ষেত্রে চলতি মামলাটির পার্থক্য রয়েছে। এই মামলায় ট্রাম্পকে গ্রেপ্তার করা যাবে না। নির্বাচনের লড়ার ক্ষেত্রেও কোনো সমস্যা হবে না ট্রাম্পের।
আদালতে ট্রাম্প জানিয়েছেন, তার ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডের জন্য কারো কখনো কোনো সমস্যা হয়নি। কিন্তু নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেলের অভিযোগ, সম্পত্তির ভ্যালু জালিয়াতি করে ট্রাম্প অন্তত ১০ কোটি ডলার অতিরিক্ত আয় করেছেন, তার সম্পত্তি বেড়েছে। ট্রাম্প অবশ্য তা মানতে চাননি।
প্রকাশ্যে নিউইয়র্কের অ্যাটর্নিকে ‘কৃষ্ণাঙ্গ নারী’ ও ‘নিয়ন্ত্রণহীন’ বলে অপমানও করেন ট্রাম্প।