আয়ারল্যান্ডে ছুরি হামলায় তিন শিশু আহত, সহিংস বিক্ষোভ
আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিনে ছুরি হামলায় তিন শিশু আহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিবাদকারীরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় তারা কয়েকটি যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং বিভিন্ন দোকানে লুটতরাজ চালায়। উত্তেজিত জনতা দাঙ্গা পুলিশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেয় এবং বেশ কিছু আতশবাজি পোড়ায়। খবর এএফপির।
ডাবলিনের লিফে নদীর ওপর ও’কোনেল সেতুর কাছে একটি প্রাইভেটকার ও একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। এ ছাড়া উচ্ছৃঙ্খল জনতা শহরের প্রধান বাণিজ্যিক এলাকায় বেশ কিছু দোকান ভেঙে ফেলে এবং সেগুলোতে লুটতরাজ চালায়।
কয়েক বছরের মধ্যে ডাবলিনে সবচেয়ে খারাপ সহিংসতার ঘটনা এটি। উত্তর ডাবলিনের পার্নেল স্কোয়ারে পাঁচ বছরের একটি মেয়ে শিশু ছুরি হামলার শিকার হলে এই সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। ছুরি হামলায় আহত আরও দুই শিশুসহ চারজনকে অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে হামলাকারীও রয়েছে বলে জানা গেছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) বেলা দেড়টায় এ ঘটনা ঘটে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া গুজবের কারণে মূলত সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। হামলাকারীর পুরো পরিচয় প্রকাশ না করে পুলিশ কেবল জানায়, ওই ব্যক্তির বয়স ৫০ বছরের কাছাকাছি। এ প্রসঙ্গে আয়ারল্যান্ড পুলিশ প্রধান ড্রিউ হ্যারিস বলেন, ‘চরম ডানপন্থি লোকজনের প্ররোচণাতেই সহিংসতার ঘটনা ঘটে।’ তিনি শহরের অধিবাসীদের ভুল তথ্যের বিষয়ে সজাগ থাকার আহ্বান জানান।
এ ঘটনার জন্য ডাবলিনে থাকা অভিবাসীদের দায়ী করে অনেক বিক্ষোভকারী ‘আইরিশ লাইভস ম্যাটার’ লেখা পোস্টারও বহন করেন।
সম্প্রতি আয়ারল্যান্ডে আবাসিক সংকট বেশ প্রকট হয়েছে। দেশটির সরকার হিসাব করে জানিয়েছে, সাধারণ নাগরিকদের জন্য বরাদ্দ দেওয়া লক্ষাধিক বাড়ির ঘাটতি রয়েছে। এ কারণে শরণার্থী ও আশ্রয়প্রার্থীদের বিরুদ্ধে ক্রমশ অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ছে দেশটিতে। সম্প্রতি দেশটির ডানপন্থিরা অভিবাসীবিরোধী অবস্থান জানাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘আয়ারল্যান্ড ইজ ফুল’ শীর্ষক প্রচারণা শুরু করেছেন।