বিয়ের দিনেই কনেসহ চারজনকে হত্যা করে বরের আত্মহত্যা
বিয়ে শেষে চলছিল আনুষ্ঠিকতা। এর মাঝেই সেখান থেকে বেরিয়ে যান বর। ফিরে আসেন বন্দুক হাতে। ফিরেই গুলি করে হত্যা করেন নতুন স্ত্রী, মা, বোন ও একজন অতিথিকে। এরপর নিজেও আত্মহত্যা করেন ওই বর। গত শনিবার থাইল্যান্ডের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ঘটে এ ঘটনা। খবর বিবিসির।
আজ সোমবার (২৭ নভেম্বর) প্রকাশিত প্রতিবেদনে ব্রিটিশ গণমাধ্যমটি জানায়, থাইল্যান্ডের একজন প্যারা অ্যাথলেট ও সেনাবাহিনীর সাবেক সদস্য বিয়ের দিনেই চারজনকে হত্যা করেছে ও পরে নিজে আত্মহত্যা করেছে। গত শনিবার দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে চাতুরং সুকসুক (২৯) ও কানচানা সুনসুনকের (৪৪) বিয়ে হয়। এরপর তাদের সংবর্ধনার জন্য একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিয়ের পার্টি ছেড়ে হঠাৎ করেই বের হয়ে যান বর এবং বন্দুক নিয়ে ফিরে আসেন। এসেই নতুন স্ত্রী, ৬২ বছর বয়সী মা ও ৩৮ বছর বয়সী বোনকে গুলি করে হত্যা করেন। এ ছাড়া ওই ব্যক্তির গুলিতে গুলিবিদ্ধ হন দুই অতিথি। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন মারা যান।
দেশটির পুলিশ বিবিসিকে জানিয়েছে, ঘটনার সময় চাতুরং নেশাগ্রস্ত ছিলেন। কি কারণে তিনি এমনটি করেছেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। গত বছর বৈধ পন্থায় বন্দুকটি নিয়েছিলেন সেনাবাহিনীর সাবেক ওই সদস্য।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা অতিথিদের বরাতে পুলিশ দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যমগুলোকে জানিয়েছে, পার্টির একপর্যায়ে নতুন দম্পতিটির মাঝে বাগবিতণ্ডা হয়। চতুরং তার ও স্ত্রীর বয়সের ব্যবধান নিয়ে অনিরাপদ বোধ করেছিল। থাইল্যান্ডের স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, বিয়ের আগের তিন বছর ধরে চতুরং ও কানচানার একসঙ্গে বাস করতেন।
গত বছর ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত হওয়া আসিয়ান প্যারা গেমসে সাঁতারে রৌপ্য পদক জিতেছিলেন চাতুরং। আগামী মাসে থাইল্যান্ডে হতে যাওয়া বিশ্ব অ্যাবিলিটি স্পোর্টস গেমসে অংশ নেওয়ার কথা ছিল তার।