নাইজেরিয়ায় স্কুল থেকে ২৮০ শিক্ষার্থী অপহরণ
নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে একটি স্কুল থেকে ২৮০ জনের বেশি শিক্ষার্থীকে অপহরণ করেছে বন্দুকধারীরা। ওই স্কুলটির একজন শিক্ষক ও একজন স্থানীয় অধিবাসী এ তথ্য জানিয়েছেন বার্তা সংস্থা এএফপিকে। এটি নাইজেরিয়ায় গণঅপহরণের সর্বশেষ ঘটনা।
গণঅপহরণ আফ্রিকা মহাদেশের সবচেয়ে জনবহুল এই দেশটির একটি সাধারণ ঘটনা হলেও সম্প্রতি তা কমে এসেছিল। নাইজেরিয়ায় সন্ত্রাসীরা মুক্তিপণ আদায়ের জন্য স্কুল ও কলেজগুলোকে লক্ষ্য করে প্রায়ই হামরা চালায়। আর এমন ঘটনা বেশি ঘটে দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে।
কাদুনা রাজ্যের কুরিগা স্কুলে সংঘটিত অপহরণের এই ঘটনার বিষয়টি স্বীকার করেছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের একজন কর্মকর্তা। তবে কতজনকে অপহরণ করা হয়েছে সে সম্পর্কে তিনি কোনো তথ্য জানাতে চাননি। তিনি জানান, কতজন স্কুল শিক্ষার্থীকে অপহরণ করা হয়েছে সে বিষয়ে তারা কাজ করে যাচ্ছেন।
চিকুন জেলার জিএসএস কুরিগা স্কুলের একজন শিক্ষক সানি আব্দুল্লাহি জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার (৭মার্চ) রাতে অস্ত্রধারীরা যখন শূন্যে গুলি ছুড়তে থাকে তখন অনেক শিক্ষার্থীসহ স্কুলটির বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা পালিয়ে যায়। তিনি বলেন, ‘ঠিক কতজন শিক্ষার্থীকে অপহরণ করা হয়েছে, আমরা এখন সে সংখ্যাটি নির্ধারণ করতে কাজ করে যাচ্ছি।’
সানি আব্দুল্লাহি আরও বলেন, ‘জিএসএস কুরিগার প্রাথমিক শ্রেণিগুলো থেকে ১৮৭ জন শিক্ষার্থী নিখোঁজ রয়েছে। এছাড়া আরও ১২৫ জনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। তবে এদের মধ্যে ২৫ জন ফিরে এসেছে।’
স্থানীয় একজন অধিবাসী মোহাম্মদ আদম বলেন, ‘২৮০ জনেরও বেশি বাচ্চাকে অপহরণ করা হয়েছে। আমরা প্রথমে ভেবেছিলাম এই সংখ্যা ২০০ হবে, তবে সাবধানে হিসাব করে দেখা গেছে ২৮০ জনের বেশি শিক্ষার্থী অপহৃত হয়েছে।’
তবে অপহরণের শিকার শিক্ষার্থীদের সংখ্যার বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের লোকজন বা পুলিশ কোনো তথ্য দিতে পারেনি।
বৃহস্পতিবার কাদুনা রাজ্যর গভর্নর উবা সানি ঘটনাস্থলে সংবাদকর্মীদের বলেন, ‘ঠিক কতজন শিশু বা শিক্ষার্থীকে অপহরণ করা হয়েছে সে বিষয়ে এই মুহূর্তে আমরা কিছু বলতে পারছি না।’
নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট বোলা আহমেদ তিনুবু দেশের নাগরিকদের নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে আসলেও দেশটির সশস্ত্র বাহিনীকে বিভিন্ন স্থানে বিদ্রোহীদের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যেতে হচ্ছে। নাইজেরিয়ার উত্তরপূর্বাঞ্চলে জিহাদি বিদ্রোহ দমনে কাজ করছে দেশটির সশস্ত্র বাহিনী।
গত সপ্তাহেও দেশটির উত্তরপূর্বাঞ্চলে সংঘাতের কারণে বাড়িঘর হারানো লোকজনের একটি ক্যাম্প থেকে ১০০ জনকে অপহরণ করে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা।