উ. কোরিয়ায় দুদিনের সফরে পুতিন, যুদ্ধে সহায়তায় পিয়ংইয়ংকে প্রশংসা
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মঙ্গলবার (১৮ জুন) দুদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে উত্তর কোরিয়ায় যাচ্ছেন। দুদেশের মধ্যে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক জোরদার করতে পুতিনের এই পিয়ংইয়ং সফর। সফরের আগে ইউক্রেনে মস্কোর যুদ্ধকে ‘দৃঢ়ভাবে সমর্থন’ করায় উত্তর কোরিয়াকে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি।
আজ রাতে উত্তর কোরিয়ায় পৌঁছানোর কথা পুতিনের। বিচ্ছিন্ন দেশটিতে ২৪ বছরের মধ্যে পুতিনের এটি প্রথম ভ্রমণ। গত বছরের সেপ্টেম্বর রাশিয়ার দূরপ্রাচ্য সফরে গিয়েছিলেন উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং–উন। তখন তিনি পুতিনকে পিয়ংইয়ংয়ে আমন্ত্রণ জানান। সেই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে দেশটিতে সফর করছেন পুতিন।
পুতিনের সফরকে ঘিরে পিয়ংইয়ং জুড়ে উৎসবের আমেজ। সেখানে ল্যাম্পপোস্টে রুশ পতাকার পাশাপাশি ঝুলানো হয়েছে রাশিয়ার পাতাকাও। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে এসব চিত্র দেখা যায়। রুশ নেতার একটি হাস্যোজ্জ্বল ছবিসহ বিশাল ব্যানারে লেখায় দেখা যায়, ‘আমরা প্রেসিডেন্ট পুতিনকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাই!’
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর উত্তর কোরিয়া প্রতিষ্ঠার সময় থেকেই মস্কো ও পিয়ংইয়ং মিত্র। ২০২২ সালে ইউক্রেন আক্রমণের পর পশ্চিমারা রাশিয়াকে বিচ্ছন্ন করে দিলে তাদের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে।
যদিও এই সফরকে ভালেভাবে নেয়নি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা। ইউক্রেনে ব্যবহারের জন্য ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রসহ অতি প্রয়োজনীয় অস্ত্র সরবরাহের অভিযোগ রয়েছে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধ। যদিও পিয়ংইয়ং বিষয়টি অস্বীকার করেছে। যদিও যুদ্ধের প্রচেষ্টায় সহায়তার জন্য পুতিন কিম জং উনের সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। পিয়ংইয়ং সফরের আগে তিনি এই ধন্যবাদ জানান।
আজ পিয়ংইয়ংয়ের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে পুতিন লিখেছেন, ‘আমরা অত্যন্ত প্রশংসা করি যে ডিপিআরকে (উত্তর কোরিয়া) ইউক্রেনে পরিচালিত রাশিয়ার বিশেষ সামরিক অভিযানকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করছে।’ তিনি আরও লিখেছেন, রাশিয়া এবং উত্তর কোরিয়া ‘এখন সক্রিয়ভাবে বহুমুখী অংশীদারিত্বের বিকাশ করছে।’