ফারাক্কায় বাড়ছে পানি, বন্যার শঙ্কায় বিভিন্ন অঞ্চল
ফারাক্কা খুলে দেওয়ায় বিভিন্ন এলাকায় পানি বাড়তে শুরু করেছে। এতে খোদ ভারতের মুর্শিদাবাদের মানুষও রয়েছে দুশ্চিন্তায়। দেশটির নদ গঙ্গার উৎপত্তির অঞ্চলগুলোতে বৃষ্টির প্রবণতা বাড়তে থাকায় জলস্তরও বেড়েছে অনেক। এতে মুর্শিদাবাদের পাশাপাশি বাংলাদেশে ফারাক্কার কাছাকাছি অঞ্চলে বন্যার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। যদিও এখনই এমন কিছু হবে না বলে বন্যার শঙ্কার উড়িয়ে দিয়েছেন দেশটির ফারাক্কা ব্যারেজ মহাব্যবস্থাপক।
কলকাতার নিউজ-১৮ বাংলার ভিডিও প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে। সেখানে বলা হয়েছে, গত শনিবার থেকে একটু একটু করে খুলতে খুলতে আজ সব কয়টি গেট খুলে দেওয়া হলো। গণমাধ্যমটির প্রতিবেদক কৌশিকের সঙ্গে কথা হয় ব্যারেজের মহাব্যবস্থাপক (জিডি) আর ডি দেশপান্ডের। তিনি বলেন, এখন তো ব্যারেজের সব গেট খোলা আছে।
‘এখন যে পানি ডাউনস্ট্রিমে যাচ্ছে, তাতে সেদিকে পানির প্রবাহ বাড়তে পারে কি না, প্রশ্নে দেশপাণ্ডে বলেন, না। গতকাল তো ১১ লাখ ৩২ হাজার কিউসেক পানি ছাড়া ছিল। যা ওপর থেকে আসে, তা থেকে নির্দিষ্ট অংশ বাদ দিয়ে বাকি সব ডাউন স্ট্রিমে ছাড়াই লাগে। এটি ধরে রাখার কোনো ব্যবস্থা নেই। এ ছাড়া ব্যারেজের কারণে আপস্ট্রিম বা ডাউনস্ট্রিমে জলাবদ্ধতার কোনো স্ট্যাডি আমাদের কাছে নেই। এটির কোনো কারণ নেই।
ফারাক্কা বাঁধে পানিধারণ ক্ষমতা ২৬ দশমিক ২৫ মিটার। বিপৎসীমা ২২ দশমিক ২৫ মিটার এবং সতর্কতার সীমা ২১ দশমিক ২৫ মিটার। এরইমধ্যে আপস্ট্রিমের ধারণ ক্ষমতা অতিক্রম করায় শনিবার থেকে খুলে দেওয়া হয়েছে অধিকাংশ গেট। ১১ লাখ কিউসেক পানি ছাড়াই নদীর পানি বেড়ে প্লাবনের পরিমাণ আরও বাড়ছে। নিমতিতায় সতর্কসীমা ২০ দশমিক ৫৮ মিটার। বিপৎসীমা ২১ দশমিক ৯০ মিটার। নিমতিতায় পানি বইছে ১১ দশমিক ৫১ মিটার উচ্চতায়। নূরপুরে উচ্চতা ২১ দশমিক শুন্য তিন মিটার। সেখান পানি বইছে ২১ দশমিক ৬৪ মিটার দিয়ে। সতর্কতাসীমা ২০ দশমিক ৭৩ মিটার।
গিনিয়ায় বিপৎসীমা ২০ দশমিক ৯৪ মিটার সেখানে ২১ দশমিক ৫৫ মিটার উচ্চতায় পানি বইছে। সতর্কতাসীমা ২০ দশমিক ৩৯ মিটার। জঙ্গিপুরে বিপৎসীমা ২০ দশমিক ২৯ মিটার সেখানে ২০ দশমিক ৮৭ মিটার উচ্চতায় পানি বইছে। সতর্কতাসীমা ১৭ দশমিক ৮০ মিটার। লালবাগ, বেলডাঙা, শক্তিপুর, ভাগীরথী বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে।
এ বিষয়ে মহাব্যবস্থাপক দেশপাণ্ডে বলেন, ৪০ হাজার কিউসেক বাদে সব পানি নিচে ছাড়তেই হয়। সে হিসেব ডিজাইজ ডিসচার্জ ২৭ লাখ কিউসেক। এখন মাত্র ১১ লাখ ছাড়া হচ্ছে।