রসায়নে নোবেল পেলেন তিন বিজ্ঞানী
প্রোটিন ডিজাইন এবং প্রোটিন গঠনের পূর্বাভাসে অসামান্য অবদানের জন্য তিন বিজ্ঞানীকে ২০২৪ সালে রসায়নে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে৷ রয়েল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্স বুধবার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে৷
রসায়নে অবদানের জন্য ওই তিন বিজ্ঞানী হলেন যুক্তরাষ্ট্রের ডেভিড বাকের, যুক্তরাজ্যের ডেমিস হাসাবিস ও জন এম জুম্পার৷ ডেভিড বাকের যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের অধ্যাপক৷ ডেমিস হাসাবিস যুক্তরাজ্যের গুগল ডিপমাইন্ডের সিইও এবং জন এম জুম্পার প্রতিষ্ঠানটির সিনিয়র রিসার্চ সায়েন্টিস্ট৷
এর মধ্যে কম্পিউটেশনাল প্রোটিন ডিজাইনের জন্য ডেভিড বাকেরকে পুরস্কারের অর্ধেক, বাকি অর্ধেক যৌথভাবে ডেমিস হাসাবিস ও জন এম জুম্পারকে দেওয়া হয়৷
নোবেল কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়, চলতি বছরের রসায়নে নোবেল পুরস্কারে প্রাধান্য পেয়েছে প্রোটিনের গঠন৷ এর মধ্যে প্রফেসর ডেভিড বাকের কম্পিউটেশনাল প্রোটিন ডিজাইনে অসামন্য অবদান রেখেছেন৷ তাছাড়া বাকি দুই গবেষক প্রেটিনের জটিল গঠন ব্যাখ্যার জন্য প্রয়োজনীয় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার একটি মডেল তৈরি করেন৷ বিজ্ঞানীরা গত ৫০ বছর ধরে এই সমস্যার সমাধানে কাজ করছিলেন৷ তাদের এই উদ্ভাবন বিশাল সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে বলে জানায় রয়েল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সাযেন্স৷
২০২৪ সালে এখন পর্যন্ত রসায়নসহ মোট তিনটি খাতে নোবেল পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে৷ মঙ্গলবার মেশিন লার্নিং নির্মাণে সহায়তার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দুই পথিকৃৎ জন জে হপফিল্ড এবং জিওফ্রে হিন্টনকে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত করে নোবেল কমিটি৷ ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার গডফাদার’হিসেবে পরিচিত ব্রিটিশ-ক্যানাডিয়ান জিওফ্রে হিন্টন ক্যানাডার টরন্টো বিশ্বিদ্যালয়ের সাথে যুক্ত৷ তিনি ইউনিভার্সিটি অফ টরন্টোতে কর্মরত৷ আর হপফিল্ড যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সটনে কর্মরত একজন আমেরিকান৷
এর আগে সোমবার চিকিৎসাবিজ্ঞানে অসামান্য অবদানের জন্য দুই মার্কিন বিজ্ঞানী ভিক্টর অ্যামব্রোস ও গ্যারি রাবকুনকে নোবেল দেওয়া হয়৷ তাদের আবিষ্কার পৃথিবীতে মানুষের জীবন কী জটিল উপায়ে বিকশিত হয়েছে এবং কীভাবে মানবদেহ বিভিন্ন টিস্যু দিয়ে গঠিত– তার ব্যাখ্যায় সহায়তা করে বলে জানায় নোবেল কমিটি৷
নোবেল কমিটি জানায়, বৃহস্পতিবার সাহিত্যে, শুক্রবার শান্তিতে এবং আগামী সোমবার অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে৷