কমলা বললেন ট্রাম্পে ক্লান্ত জনগণ, হ্যারিসকে নির্বোধ বললেন ট্রাম্প
ডেমোক্র্যাট দলের প্রার্থী কমলা হ্যারিস বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ একজন নারী প্রার্থীকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচনের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। নিজের শক্ত অবস্থানের কথা তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, তিনি কেবল ইতিহাসের পাতা উল্টাতে চান, কেননা যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ ট্রাম্পের বিষয়ে ক্লান্ত, অবসন্ন। অন্যদিকে, নর্থ ক্যারোলাইনাতে এক নির্বাচনি সমাবেশে ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রতিদ্বন্দ্বীকে ‘নির্বোধ’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। খবর এএফপির।
নির্বাচনে ভোটগ্রহণের মাত্র দুই সপ্তাহ আগে কমলা হ্যারিস ও ডোনাল্ড ট্রাম্প দুই প্রার্থীই এখন দোদুল্যমান রাজ্য বা সুইং স্টেটগুলোতে ভোটারদের সমর্থন পেতে নির্বাচনি প্রচারকাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। পাশাপাশি ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম ও পডকাস্টগুলোতে চালাচ্ছেন প্রচারণা। নির্বাচনি জরিপ বলছে, দুই প্রার্থীই এগিয়ে রয়েছেন সমান তালে।
এনবিসি নেটওয়ার্কে এক সাক্ষাৎকারে কমলা হ্যারিস বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ একজন নারীকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে গ্রহণ করতে পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে আছে। তিনি এই নির্বাচনে তার প্রার্থিতাকে ‘ইতিহাসের পাতা উল্টানোর ঘটনা’ হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘জনগণ ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার প্রকাশভঙ্গির কারণে ক্লান্ত, কেননা তার সবকিছুই নিজেকে নিয়ে।’
অন্যদিকে, ডোনাল্ড ট্রাম্প নর্থ ক্যারোলাইনাতে এক নির্বাচনি সমাবেশে আলাদা বার্তা দেন। সমাবেশে হর্ষোৎফুল্ল জনতার উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘অযোগ্যতা, ব্যর্থতা আর বিপর্যয়ের মধ্যে জনগণ আরও চার বছর সময় কাটাবে নাকি আগামী চার বছর দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে সুন্দর সময় পার করবে, তা বেছে নিতেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এই নির্বাচন।’
সমাবেশে ট্রাম্প আবারও প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিস ও তার রানিং মেট টিম ওয়াল্টজকে ‘নির্বোধ’ হিসেবে উল্লেখ করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইতোমধ্যে এক কোটি ৮০ লাখ ভোটার তাদের ভোট দিয়েছে। ডাক যোগে অথবা সরাসরি এসব ভোট দেন ভোটাররা, যা ২০২০ সালের চেয়ে ১০ শতাংশের বেশি।
তবে যাই হোক না কেন আগামী ৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকরা একটি ইতিহাস গড়তেই যাচ্ছেন। হয় তারা দেশের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবেন অথবা প্রথমবারের মতো আদালতে প্রমাণিত কোনো দোষী ব্যক্তিকে হোয়াইট হাউসে স্থান করে দেবেন।