গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় ৫০ শিশুসহ নিহত ৮৪
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার উত্তরাঞ্চলে বেশকিছু আবাসিক ভবনে ইসরায়েলের দুই দফা বিমান হামলায় ৫০ শিশুসহ কমপক্ষে ৮৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। গাজার সরকারি গণমাধ্যমবিষয়ক অফিস থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর আলজাজিরার।
এদিকে গাজার মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত নুসেইরাত শরণার্থী শিবির থেকে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের সাহায্যের জন্য কাজ করা জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ’র সিনিয়র ইমার্জেন্সি অফিসার লুইস ওয়াটারিজ বলেছেন, যুদ্ধবিধ্বস্ত এই ভূখণ্ডে এখন সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন সাধারণ বেসামরিক লোকজন। তিনি বলেন, ‘এখানে খাবার পাওয়া যাচ্ছে না। খুবই কঠিন আর মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা।’
ওয়াটারিজ আরও বলেন, ‘আবারও পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে পড়েছে যে লোকজন ময়দার বস্তার জন্য লড়াই করছে। কোনো কিছুই পাওয়া যাচ্ছে না, সব শেষ হয়ে যাচ্ছে আর এ কারণে খাবারের ক্যান বা যেকোনো কিছুর জন্য তারা লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।’
গাজার মধ্যাঞ্চলে নুসেইরাত এলাকার ক্যাম্প-৫ এ একটি বাড়িতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর বোমা হামলায় কমপক্ষে তিনজন নিহত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নুসইরাত এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনী বেশ কয়েকবার হামলা চালায়। এসব হামলায় কমপক্ষে ৩৪ জন নিহত এবং আহত হয় আরও বেশ কিছু মানুষ। ফিলিস্তিনি তথ্য কেন্দ্র বিভিন্ন সরকারি গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে।
ইসরায়েল জানিয়েছে, খান ইউনিসে এক বিমান হামলায় হামাসের শীর্ষস্থানীয় নেতা ইজ আল-দিন নিহত হয়েছেন। তিনি গাজায় হামাসের বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যে সমন্বয়কের কাজ করতেন বলে জানিয়েছে ইসরায়েল।
হামাসের শীর্ষ নেতারা অভিযোগ করেছেন, গাজায় যুদ্ধ বিরতির প্রসঙ্গটি নিয়ে আলোচনার ক্ষেত্রে মোটেও গুরুত্ব দিচ্ছে না।
এদিকে, ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মটরিচ বলেছেন, গাজা অবশ্যই ইসরায়েলের দখলে থাকবে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজায় আরও বেশ কয়েক বছর অবস্থান করবে।
অন্যদিকে, গতকাল শুক্রবার (১ নভেম্বর) রাতে পেন্টাগনের একজন মুখপাত্র এক সতর্ক বার্তায় জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে আরও মার্কিন সৈন্য মোতায়েন করতে যাচ্ছে। কূটনৈতিক উদ্যোগের পাশাপাশি উত্তেজনা নিরসনের লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে পেন্টাগন।