নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না গ্রহণ করায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব (বর্তমানে ঢাকার এডিসি) মমতাজ বেগমকে দ্বিতীয়বার তলবের আদেশ স্থগিত করেছেন চেম্বার আদালত। আজ বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরসেদ, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়।

গত ২৭ অক্টোবর নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় সহকারী সচিব মমতাজ বেগমকে তলব করেন হাইকোর্ট। দুই নভেম্বর সকাল সাড়ে ১০টায় তাকে হাজির হতে বলা হয়।

আদালতের আদেশ অনুযায়ী মমতাজ বেগম গতকাল হাজির হয়েছিলেন। কিন্তু আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করা সংক্রান্ত নথি নিয়ে না আসায় তাকে পুনরায় হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়। আগামী রোববার তাকে নথিপত্রসহ পুনরায় হাজির হতে বলা হয়। এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

রিটের পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. আরিফ হোসেন গত ২৭ অক্টোবর বলেছিলেন, মো. আনোয়ার হোসেনের চেয়ারম্যান পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০২১ সালের ৩০ মে রিট দায়ের করা হয়। রিটে অভিযোগ করা হয়, উপজেলা পরিষদ আইন ১৯৯৮ ধারা ৮(২)(জ) লঙ্ঘন করে আনোয়ার হোসেন উপজেলা চেয়ারম্যান পদে থেকে নিজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আনোয়ার টেড্রার্সের পক্ষে সরকারের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হন।

পরে রিটের শুনানি নিয়ে ২০২১ সালের ১ জুন হাইকোর্ট রুল জারি করেন। এদিকে রিট আবেদনকারী স্থানীয় বাসিন্দা রেজাউল করিম স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ করেন। তার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নাটোরের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মো. গোলাম রাব্বী অভিযোগের সত্যতা পেয়ে তাকে অপসারণের সুপারিশ করেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আনোয়ার হোসেন উপজেলা চেয়ারম্যান পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন। এজন্য তাকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের পদ থেকে অপসারণ করা যেতে পারে। পরবর্তীতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মমতাজ বেগম তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা না নিয়ে তাকে ঠিকাদারি ব্যবসা না করার নির্দেশ দেন। রুল শুনানির জন্য উঠলে রিটের পক্ষের আইনজীবী হলফনামা আকারে উপজেলার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন অনুযায়ী ব্যবস্থা না নেওয়ার বিষয় আদালতকে অবহিত করেন। শুনানি শেষে আদালত স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী মমতাজ বেগমকে তলব করেন।