এডিসি সাকলায়েনের কর্মকাণ্ডে পুলিশ বিব্রত : ডিএমপি কমিশনার
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেছেন, ‘সাকলাইনের সঙ্গে পরী মণির এই মামলার কোনো সম্পর্ক নেই। একজন বিসিএস পুলিশ অফিসার এ ধরনের অনৈতিক সম্পর্কে জড়াবে,এটি কখনো প্রত্যাশিত না। এডিসি সাকলায়েনের কর্মকাণ্ডে পুলিশ বিব্রত। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিএমপির সদর দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন,‘পুলিশ কর্মকর্তা সাকলায়েনের শৃঙ্খলা ও নৈতিকতা ভঙ্গের কারণে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ কর্মকর্তা সাকলায়েন পরী মণির কোন মামলা তদারকির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কোনো সুযোগ নেই।’
মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন,‘পরী মণির ঘটনার পর আমরা একটু নড়েচড়ে বসলাম। আসলে আন্ডার ওয়াল্ডে কি হচ্ছে। যখন দেখলাম এ ধরনের অনৈতিক কাজ হচ্ছে,তখন কিন্তু আমরা অভিযানে গেছি। পরী মণির বিষয়ে এভাবে কোনো ব্যবসায়ীর তালিকা তৈরি করা বা কাউকে গ্রেপ্তার করার কোনো আইনগত ভিত্তি নেই। এবং এ ধরনের কোনো কাজ পুলিশের কোনো সংস্থা করছে না।’
ডিএমপি কমিশনার বলেন,‘পরী মণির ইসুতে কোন ব্যবসায়ীর সঙ্গে সম্পর্ক বা প্রতারণা নিয়ে কোনো পক্ষেরই অভিযোগ নেই,তাই কোন তালিকা করারও সুযোগ নেই।’
সিআইডি থেকে সাংবাদিকদের বলা হচ্ছে- ব্ল্যাকমেইলের বিষয়ে সিআইডি বেশ কিছু অভিযোগ পেয়েছে,এমন প্রশ্নে ডিএমপি কমিশনার বলেন,‘তারা যদি অভিযোগ পেয়ে থাকে তাহলে তাদের অনুরোধ করব থানায় মামলা করাক। মামলা তো সিআইডিতে হবে না,মামলা থানায় অথবা আদালতে হবে। মামলা হওয়ার পরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন,‘মামলাটি সিআইডি তদন্ত করছে। আমি নিজেও সিআইডি প্রধানের সঙ্গে কথা বলেছি। সিআইডি প্রধান বলেছেন,এই ধরনের তালিকা তৈরি করা অথবা কাউকে আটক করার আইনগত কোনো ভিত্তি নেই এবং এই ধরনের কোনো কাজ পুলিশের কোনো সংস্থা করছে না। কোনো তালিকা তৈরি করা অথবা আটক করা হবে ধরনের কোনো কাজ করছে না পুলিশ।’