কলেজের গ্রন্থাগারিকদের বেতনগ্রেড নির্ধারণে হাইকোর্টের রুল
জাতীয়করণকৃত কলেজগুলোতে গ্রন্থাগারিক ও সহকারি গ্রন্থাগারিক পদে কর্মরতদের ৯ম ও ১০ম গ্রেডের পরিবর্তে অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক ১৪ ও ১৬ গ্রেডে বেতন নির্ধারণ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ৯ম ও ১০ম গ্রেডে বেতন নির্ধারণে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন আদালত।
এ সংক্রান্ত দশজনের এক রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে আজ মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণলায়, অর্থ ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট ৯ জনকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটকারীদের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ চৌধুরী।
অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া জানান, জাতীয়করণকৃত কলেজে গ্রন্থাগারিক ও সহকারী গ্রন্থাগারিক পদে কর্মরত কর্মকর্তারা ৯ম ও ১০ম গ্রেডে এমপিওভুক্ত হন এবং কলেজ জাতীয়করণের পর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর ৯ম ও ১০ম গ্রেডে বেতন নির্ধারণের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠায়। কিন্তু মন্ত্রণালয় গত বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে আদেশ দেন এবং ১ ডিসেম্বর ও ১২ জানুয়ারি ১৪ ও ১৬ গ্রেডে বেতন নির্ধারণ করে চিঠি ইস্যু করে।
অন্যদিকে অর্থ মন্ত্রণালয় ২০১৩ সালে এবং ২০১৭ সালে একই ধরনের কর্মকর্তাদের নবম ও দশম গ্রেডে বেতন অনুমোদন করে। কিন্তু রিট আবেদনকারীদের বিষয়ে ৯ম ও ১০ম গ্রেডের বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করে, যা বৈষম্যমূলক ও মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। এ কারণে ২৩ জন গ্রন্থাগারিক ও সহকারী গ্রন্থাগারিক রিট দায়ের করেন। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেছেন।
রিট পিটিশনারগণ হলেন- আবুল কালাম মোহাম্মদ ফরহাদ, মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, রূপনা মজুমদার, শাহজাদি আক্তার, বিপ্লব কুমার দাস, রাবিয়া আক্তার, আনিচাত-উর-রাইয়ান বিনতে খুরশেদ, মোহাম্মদ লুৎফর রহমান, এ কে এম রেজাউল করিম ও সেলিম হোসেনসহ ২৩ জন।