কীর্তনখোলা উপচে পানি ঢুকছে বরিশাল নগরীতে
পূর্ণিমা আর উঁচু জোয়ারের প্রভাবে বরিশালে কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। ফলে নগরীর নিম্নাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকা পানির নিচে রয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বিভিন্ন এলাকার মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছে না। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কেও উঠেছে নদীর পানি।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সড়ক, সাংবাদিক মাইনুল হাসান সড়কের মতো গুরুত্বপূর্ণ সড়কেও পানি উঠতে দেখা গেছে। এ ছাড়া পলাশপুর, ভাটিখানা ও হাটখোলাসহ সদর উপজেলার চরবাড়িয়া, চরকাউয়া এলাকায়ও নদীর পানি ঢুকে পড়েছে। এতে ঘরবন্দি হয়ে পড়েছে ওই এলাকার মানুষ।
নগরীর ভাটিখানা এলাকার বাসিন্দা মইনুল ইসলাম বলেন, ‘সকাল থেকে বাসার বাইরে বের হতে পারিনি। অফিসেও যেতে পারিনি। বাসার সামনে হাঁটুসমান পানি। নদীতে পানি বাড়ায় রাস্তায়ও পানি বাড়ছে।’
হাটখোলা এলাকার বাসিন্দা জিয়াউল করিম বলেন, ‘আমার বাসার সামনে দুপুরের (বৃহস্পতিবার) পর থেকেই পানি ওঠা শুরু করে। সন্ধ্যা পর্যন্ত পানি নামেনি। অনেকে ঘরবন্দি হয়ে পড়েছে। আমাদের পার্শ্ববর্তী রসূলপুর এলাকায়ও অনেক পানি উঠেছে।’
পলাশপুর এলাকার বাসিন্দা আলামিন হোসেন বলেন, ‘আমাদের এলাকার অনেকের ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে গেছে। অনেকের ঘরে দুপুরের রান্নাও হয়নি।’
পানি উন্নয়ন বোর্ড বরিশালের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মাসুম বলেন, ‘কীর্তনখোলা নদীর পানির বিপৎসীমা ২ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটার। কিন্তু, তা অতিক্রম করে বর্তমানে পানির উচ্চতা রয়েছে ২ দশমিক ৭২ সেন্টিমিটার।’