কুষ্টিয়ায় কোভিড রোগীর চাপ, হাসপাতালে অক্সিজেন সংকটের আশঙ্কা
কুষ্টিয়ার পিসিআর ল্যাব ও জেলা সিভিল সার্জনের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৫৭৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৯৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ৩৪ শতাংশ। আর, ২৪ ঘণ্টায় জেলায় করোনায় আরও পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। সীমান্তবর্তী জেলা কুষ্টিয়ায় সাত দিনের কঠোর লকডাউন শেষ হচ্ছে আজ রোববার মধ্যরাতে।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে রোগী ভর্তির চাপ প্রতিদিন বাড়ছে। হাসপাতালে করোনা পজিটিভ ও উপসর্গ নিয়ে চার ওয়ার্ডে ১৮৮ জন রোগী ভর্তি আছে।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবদুল মোমেন বলেন, হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত এবং উপসর্গ নিয়ে রোগী ভর্তির সংখ্যা প্রতিনিয়ত বাড়ছে। চাপ সামলাতে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীদের বেগ পেতে হচ্ছে। উপজেলা সদরসহ জেলার দূরদূরান্ত থেকেও করোনায় আক্রান্ত হয়ে এবং উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ছুটে আসছে রোগী। আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসক ও জনবল যা আছে, তা দিয়ে রোগীর চাপ সামাল দেওয়া গেলেও এভাবে যদি চাপ বাড়তে থাকে, তাহলে অতিরিক্ত লোকবল প্রয়োজন হবে।
বর্তমান পরিস্থিতিতে হাসপাতালে অক্সিজেন সংকট দেখা দেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে জানিয়ে আবদুল মোমেন বলেন, যাঁরা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন, তাঁদের প্রায় প্রত্যেকেরই অক্সিজেন সাপোর্ট দিতে হচ্ছে। এদিকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট এই হাসপাতালে এখন করোনা ছাড়া অন্য কোনো রোগী ভর্তি করা হচ্ছে না।
তবে জেলায় অস্বাভাবিক হারে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলেও মানুষ কোনো কিছুই মানছে না। নানা অজুহাতে তারা শহরে প্রবেশ করার চেষ্টা করছে।
লকডাউন কার্যকর করার জন্য পুলিশ শহরের বিভিন্ন প্রবেশমুখে চেকপোস্ট বসিয়েছে। এ ছাড়া গতকাল শনিবার দিনব্যাপী ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করে সরকারি বিধিনিষেধ না মানার কারণে ৪৯ জনকে ৪৯ হাজার ৪০০ টাকা জরিমানা করার পাশাপাশি পাঁচ জনকে স্বল্প মেয়াদে সাজা দিয়েছেন।
অস্বাভাবিক হারে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় কুষ্টিয়ায় গত ২০ জুন মধ্যরাত থেকে ২৭ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে গণবিজ্ঞপ্তি দেয় জেলা প্রশাসন।