কৃষিপণ্য পরিবহণে লকডাউনে চলবে ট্রেন
করোনা পরিস্থিতির অবনতিতে আগামীকাল বুধবার থেকে শুরু হতে যাচ্ছে সারা দেশে সর্বাত্মক লকডাউন। এ সময়ে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকলেও চলবে সব ধরনের মালবাহী ট্রেন। পাশাপাশি কৃষিজাত পণ্য ও পার্সেল পরিবহণে চারটি রুটে অতিরিক্ত আটটি ট্রেন আসা-যাওয়া করবে।
রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন আজ মঙ্গলবার রেলভবনে লকডাউন এবং কোভিডকালে পণ্যবাহী ও পার্সেল ট্রেন পরিচালনা নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন। এ সময় রেল মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম রেজা, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্রনাথ মজুমদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘আগামীকাল বুধবার থেকে ঢাকা-সিলেট-ঢাকা, চট্টগ্রাম-সরিষাবাড়ী-চট্টগ্রাম, খুলনা-চিলহাটি-খুলনা ও পঞ্চগড়-ঢাকা-পঞ্চগড় রুটে প্রতিদিন কৃষিজাত পণ্য ও পার্সেল নিয়ে ট্রেন চলাচল করবে। প্রাথমিকভাবে লকডাউনের জন্য এগুলো চালু করা হয়েছে। পরবর্তীতে চাহিদার আলোকে মালবাহী এ ট্রেনগুলো চালু রাখার পরিকল্পনা রয়েছে।’
রেলমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সরিষাবাড়ী ও চট্টগ্রাম-সিলেটের মধ্যে চলাচলকারী ট্রেনের সঙ্গে আখাউড়া রেলওয়ে জংশনে লাগেজ-ভ্যান সংযোজন-বিয়োজন করার ব্যবস্থা থাকবে। খুলনা-ঢাকা রুটে চলাচলকারী মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে ঈশ্বরদী স্টেশনে সংযোজন ও বিযোজনের ব্যবস্থা থাকছে। বিশেষ পার্সেল ট্রেনে কৃষিজাত পণ্য শাক-সবজি, দেশি ফলমূলসহ অন্যান্য কৃষিপণ্য পরিবহণের ক্ষেত্রে মূল ভাড়ার ওপর ২৫ শতাংশ রেয়াতি ও অন্যান্য সব ধরনের চার্জ মওকুফ করা হবে।
ভাড়ার বিষয়ে মন্ত্রী জানান, ঢাকা-সিলেট রুটের দূরত্ব ৩১৯ কিলোমিটারের জন্য কেজিপ্রতি এক টাকা ১১ পয়সা, ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ৩৪৬ কিলোমিটারের জন্য কেজিপ্রতি এক টাকা ১৭ পয়সা, চট্টগ্রাম-সরিষাবাড়ী ৪৬৯ কিলোমিটারের জন্য প্রতিকেজি এক টাকা ৩৫ পয়সা, চট্টগ্রাম-সিলেট রুটে ৩৯০ কিলোমিটারের জন্য এক টাকা ৩০ পয়সা, খুলনা-চিলাহাটি রুটে ৪৯০ কিলোমিটারের জন্য এক টাকা ৩৬ পয়সা, পঞ্চগড় -ঢাকা রুটে ৫৯৩ কিলোমিটারের জন্য এক টাকা ৫৬ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।