কৃষ্ণনগরে মা-মেয়েসহ চেয়ারম্যান পদে লড়বেন তিন নারী
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ভোটযুদ্ধে নেমেছেন মা ও মেয়েসহ তিন নারী। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর থেকে তাঁরা এখন মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।
২০১৮ সালের ৮ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হন। সেখানে অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে জয়ী হন তাঁর স্ত্রী আকলিমা খাতুন লাকি। বর্তমানে তিনিই চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন। আগামী ২৮ নভেম্বর সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউপি নির্বাচনের দিন ধার্য করা হয়েছে। সেদিন সাধারণ ভোটাররা তাদের প্রতিনিধি বেছে নেবেন।
নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হয়েছেন সংরক্ষিত নারী সদস্য শ্যামলী রানী অধিকারী। তিনি বলেন, ‘আমি চাই প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে। নিজ এলাকার উন্নয়ন করতে চাই। বিশেষ করে নারীর স্বাস্থ্য সুরক্ষা, ক্ষমতায়ন ও শিশুদের লেখাপড়া ও তাদের পুষ্টি উন্নয়নে আমি জোরালো ভূমিকা রাখতে চাই।’
ইউনিয়নে জাতীয় পার্টির দলীয় প্রার্থী হিসেবে লাঙল প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেনের মেয়ে সাফিয়া পারভিন। তিনি বলেন, ‘আমি নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারলে আমার প্রয়াত বাবার স্বপ্ন পূরণে উদ্যোগী হব। একইসঙ্গে কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, কর্মসংস্থান এবং নারী ও শিশু স্বাস্থ্য ও পুষ্টি উন্নয়নে কাজ করে যাব। আমি সরকারকে আমার কাজের মাধ্যমে সব ধরনের সহায়তা দিতে চাই।’
এদিকে, বর্তমান চেয়ারম্যান আকলিমা খাতুন লাকি। তিনিও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। তিনি প্রয়াত চেয়ারম্যানের স্ত্রী হিসেবে ২০১৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের উন্নয়ন কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানান। এবার নির্বাচিত হলে তিনি তাঁর উন্নয়ন কাজের ধারা অব্যাহত রাখবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের মোট ভোটার সংখ্যা প্রায় ২৬ হাজার। এই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে তিন নারী ছাড়াও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আরও ছয়জন। এরা হলেন রওশন আলী কাগজী, আব্দুর রহমান, নজরুল ইসলাম, জিএম রবিউল্লাহ বাহার, শাজাহান কবির ও আহসানুর রহমান।