গুলিস্তানে বিস্ফোরণ কীভাবে, যা জানালেন প্রত্যক্ষদর্শীরা
রাজধানীর গুলিস্তানে নর্থ সাউথ রোডের সুরিটোলা স্কুলের কাছাকাছি একটি বহুতল ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তবে, কী কারণে এই বিস্ফোরণ তা নিশ্চিত করেনি কেউ। যদিও স্থানীয়দের বরাতে ফায়ার সার্ভিস ও বংশাল থানা থেকে বলা হয়েছে—এসি থেকে এই বিস্ফোরণ ঘটে থাকতে পারে।
এ বিষয়ে এনটিভি অনলাইনকে প্রত্যক্ষদর্শী, স্থানীয় ও উদ্ধার কাজে থাকা ব্যক্তিরা জানান নানা তথ্য।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কয়েকজন জানান, যখন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে, তখন আমরা বেশ দূরে ছিলাম। দূর থেকে শব্দ ভেসে আসে। মনে হয়েছিল, গাড়ির টিউব-টায়ার ফেটে গেছে। কিন্তু পরে চারদিকে ধোঁয়ায় ভরে গেল। দেখলাম, চারদিকে মানুষ ছোটাছুটি করছে। ইটের টুকরা, পলেস্তারা, কাঠের টুকরা বিছিয়ে আছে রাস্তায়। ঝুলে আছে ইন্টারনেট ও বিভিন্ন সংযোগের তার।
এক ভ্যানচালক বলেন, ‘যখন বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে, তখন আমি কাছেই ছিলাম। অল্পের জন্য যেন বেঁচে গেছি। মনে হচ্ছিল—আমার ভ্যান যেন হাওয়ায় ভাসছে।’
উদ্ধারকাজে থাকা ফায়ার সার্ভিসের সদস্য আজাদ সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বলেন, আমরা বহু আহতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। এসি ও ট্রান্সফরমারের বিস্ফোরণে এই ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।’ এক প্রশ্নে তিনি আরও বলেন, ‘কোনটি আগে বিস্ফোরিত হয়েছে, তা এখনই বলা সম্ভব না। তা ছাড়া অন্য কোনো কারণ আছে কিনা, তাও আমরা জানি না। অফিসিয়ালি আপনাদেরকে আমাদের কর্মকর্তারা জানাবেন।’
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কয়েকজন এনটিভি অনলাইনকে জানান, এতো বড় বিস্ফোরণ দশটি এসিতেও সম্ভব না। একজনের দাবি—ট্রান্সফরমারের বিস্ফোরণের পর এসি বিস্ফোরণ হতে পারে। আবার অন্যের দাবি, এসির পর ট্রান্সফরমারের বিস্ফোরণে এই ঘটনা ঘটতে পারে।
এদিকে, বিকেল পৌনে ৫টার দিকে ঘটা বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত আটজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
উদ্ধার অভিযানে প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচ ইউনিট কাজ শুরু করলেও এখন সেখানে রয়েছে ১১টি। ফায়ার সার্ভিসের দায়িত্বরত কর্মকর্তা রাশেদ বিন খালেদ এনটিভি অনলাইনকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।