জামালপুরে ট্রিপল মার্ডার মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড, একজনের যাবজ্জীবন
জামালপুরে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যসহ চাঞ্চল্যকর ট্রিপল মার্ডার মামলায় বেলাল নামের এক আসামির মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত। এ ছাড়া অপর একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জিন্নাৎ জাহান ঝুনু এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম বেলাল (৩৫) ও যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম হুরমুজ আলী (৩৭)।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আবুল কাশেম তারা জানান, ২০১৩ সালের ১৪ নভেম্বর বিকেলে উপজেলার পিংনা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. ফজলুর রহমান ও তাঁর সঙ্গী ইউসুফ যমুনা নদীর বাসুরিয়া খেয়াঘাট থেকে কোরবান আলী তালুকদারের ইঞ্জিনচালিত নৌকা করে বাড়ি ফিরছিলেন। চর নলসন্ধ্যা খেয়াঘাটের কাছে পৌঁছালে পূর্ব শত্রুতার জেরে জলডাকাত আব্দুল হাইয়ের নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত ইঞ্জিনচালিত নৌকায় এসে তাদের ওপর হামলা ও মারধর করে। একপর্যায়ে নৌকাসহ অপহরণ করে যমুনা নদীর গভীরে নিয়ে যায় অভিযুক্তরা। ঘটনার তিন দিন পর ইউসুফ ও পাঁচ দিন পরে ইউপি সদস্য ফজলুর রহমানের মৃতদেহ যমুনা নদী থেকে উদ্ধার করা হয়। কিন্তু নৌকার মাঝি কোরবান আলীর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে নিহত ফজলুর রহমানের স্ত্রী সুরাইয়া খাতুন বাদী হয়ে আব্দুল হাইকে প্রধান আসামি করে ১৪ জনের বিরুদ্ধে সরিষাবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ১২ জুলাই অভিযোগ গঠন করে গোয়েন্দা পুলিশ (সিআইডি)। পরবর্তী সময়ে মামলার সব আসামিকে আটক করে জেলহাজতে পাঠানো হয়। মামলায় ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আসামি বেলালকে মৃত্যুদণ্ড ও হুরমুজ আলীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। সেইসঙ্গে এ মামলায় নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় ১২ জনকে খালাস দেওয়া হয়।
মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।