জামালপুরে আরও দুটি নাশকতা মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে আওয়ামী লীগদলীয় সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদকে জামালপুর সদর আমলি আদালতে নেওয়া হলে এই আদেশ দেন বিচারক রুমানা আক্তার।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) অ্যাডভোকেট আনিসুজ্জামান জানান, গত ৩ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে সাধারণ ছাত্র-জনতার একটি মিছিল জামালপুর উচ্চ বিদ্যালয় মোড় অতিক্রম করার সময় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় ও গুলি করে। এ সময় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়। এই ঘটনায় জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি শাহাদত হোসেন সাগর গত ১ নভেম্বর জামালপুর সদর থানায় আবুল কালাম আজাদসহ ১০ জন আওয়ামী লীগনেতার নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২০০ থেকে ৩০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

এ ছাড়া শহর বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক শেখ ফরিদ মামুন গত ১৮ নভেম্বর সদর থানায় আবুল কালাম আজাদসহ ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও দুই শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামি করে মামলা করেন। এই মামলা দুটিয় আবুল কালাম আজাদকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। পরবর্তী ধার্য তারিখে তাঁর জামিন ও রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আমান উল্লাহ আকাশ বলেন, আসামির জামিনের জন্য আবেদন করলে আদালত তা গ্রহণ করেন এবং পরবর্তী তারিখে জামিন শুনানির আদেশ দেন। তিনি আরও বলেন, ঘটনার সঙ্গে আসামির কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই, তিনি ওই সময় জামালপুরে ছিলেন না। 

গত ৫ অক্টোবর আবুল কালাম আজাদকে রাজধানী ঢাকার ধানমণ্ডি থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এরপর থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন, আজ বিকেলে দুটি নাশকতা মামলায় তাঁকে জামালপুর আদালতে আনা হয়। বিগত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুর সদর আসন থেকে আওয়ামী লীগদলীয় প্রার্থী হয়ে প্রথম বারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আবুল কালাম আজাদ।