জামালপুরে দুই ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ১৬
আসন্ন দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জামালপুর সদর উপজেলার ১ নম্বর কেন্দুয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৬ জন আহত হয়।
নৌকা প্রতীকের শেখ মো. মাহবুবুর রহমান মঞ্জু ও একই দলের বিদ্রোহী আনারস প্রতীকের সাইফুল ইসলাম খান সোহেলের কর্মী- সমর্থকদের মধ্যে এ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, দোকানপাট ভাঙচুর ও আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার রাতে সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের কালিবাড়ী বাজারে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাইফুল ইসলামের পক্ষে আনারস প্রতীকের মিছিলের প্রস্তুতি চলাকালে একই সময় নৌকা প্রতীকের মিছিল থেকে উস্কানি দিলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এর কিছুক্ষণ পরেই দুইপক্ষের মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১৬ জন কর্মী ও সমর্থক আহত হয় বলে জানিয়েছেন দুই চেয়ারম্যানের প্রার্থী।
কেন্দুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুল হক নুরল জানান, গতকাল রাতে কোনও কিছু বোঝার আগেই আনারসের সমর্থকরা ১০ থেকে ১৫টি দোকান ভাঙচুর ও দোকানের মালামাল লুটপাট করে, সেইসঙ্গে আমাদের ১০ জন কর্মীকে আহত করে।
বিদ্রোহী প্রার্থী সাইফুল ইসলাম খান সোহেল জানান, আনারসের কর্মী ও সমর্থক ও সাধারণ মানুষের ঢল নিয়ে বিশাল একটি নির্বাচনী প্রচারণার মিছিলের প্রস্ততি দেখে ঈর্ষান্বিত হয়ে পূর্ব প্রস্ততি নিয়ে আমার কর্মী সমর্থক ও সাধারণ মানুষের ওপর ব্যাপকভাবে হামলা করে, এতে ছয়জন আহত হয়। এছাড়াও আমার নির্বাচনী প্রচার কেন্দ্র ও বেশ কিছু দোকানপাট হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে।
এছাড়াও কালীবাড়ী বাজারের একটি দোকানের মালিক কেন্দুয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মুরাদ হোসেন তরফদার বিদ্রোহী প্রার্থীকে সমর্থন করায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকরা তার দোকানে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করে বলে জানিয়েছে তার স্বজন রোকেয়া জান।
জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম খান জানান, কেন্দুয়া কালীবাড়ী বাজারে গতরাতে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় শাওন খান নামের এক ব্যাক্তি সদর থানায় একটি মামলা করেছেন। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।