দেশে বন্যায় পাঁচ দিনে ৩৬ জনের প্রাণহানি
গত কয়েক দিন ধরে দেশের বিভিন্ন জেলায় বন্যা পরিস্থিতি অব্যাহতভাবে খারাপের দিকে যাচ্ছে। বন্যার পানিতে ভেসে গেছে মানুষ। পানিতে ডুবে মারা গেছেন অনেকে। এ ছাড়া ডায়রিয়া, সর্প দংশন ও আঘাতজনিত কারণেও প্রাণ হারিয়েছেন অনেকে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, বন্যায় এ পর্যন্ত ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। একইসঙ্গে পাঁচ দিনে পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় তিন হাজার মানুষ।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে সারা দেশের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত পাঁচ দিনের (১৭ মে থেকে ২১ জুন পর্যন্ত) বন্যায় সিলেট বিভাগে সব থেকে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এই বিভাগে মারা গেছে ১৮ জন। এ ছাড়া ময়মনসিংহ বিভাগে ১৫ জন ও রংপুর বিভাগে তিন জন মারা গেছে।
মৃত ৩৬ জনের মধ্যে বন্যার পানিতে ডুবে ১৭ জন, বজ্রপাতে ১২ জন, সাপের কামড়ে একজন এবং অন্যান্য কারণে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। একইসঙ্গে পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে দুই হাজার ৯৩৪ জন আক্রান্ত হয়েছে।
এদিকে, সিলেটে দ্বিতীয় ধাপের ভয়াবহ বন্যার পাঁচ দিন পেরিয়ে গেলেও সার্বিক পরিস্থিতির তেমন কোনো উন্নতি হয়নি। নগরীর নিম্নাঞ্চলের বাসাবাড়ি ও রাস্তাঘাট এখনো প্লাবিত। উপশহরের প্রধান সড়কে কোথাও হাঁটুপানি, কোথাও কোমর পর্যন্ত ডুবে আছে। ফলে বন্যা কবলিত এলাকায় মানুষের দুর্ভোগ দীর্ঘায়িত হচ্ছে।
তবে, আশার কথা শুনিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। কেন্দ্র বলছে—আগামী ২৪ ঘণ্টায় সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজরে বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হতে পারে। তবে, কিশোরগঞ্জসহ কয়েকটি এলাকায় অবনতির আশঙ্কা রয়েছে।