নাটোরে অপহৃত শিশু ঢাকায় উদ্ধার
নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলা থেকে অপহৃত আট বছর বয়সী এক শিশুকে ঢাকা থেকে উদ্ধার করেছে নাটোর জেলা পুলিশ। এরই মধ্যে অপহরণের অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) লিটন কুমার সাহা আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে তাঁর দপ্তরে অপহরণের ঘটনা এবং উদ্ধার অভিযানের বিবরণ দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন।
এসপি জানান, গত শনিবার নাটোরের বড়াইগ্রাম থানাধীন বাগডোব গ্রামের ওই শিশুর মা-বাবা ভ্যান মেরামত করার জন্যে বাগডোব বাজারে যান। এ সময় শিশুটি বাড়ির সামনে পাকা রাস্তায় খেলাধুলা করছিল। আধা ঘণ্টা পরে বাড়িতে ফিরে সন্তানকে না পেয়ে খুঁজতে থাকেন তার মা-বাবা।
পরদিন রোববার সকাল ৭টার দিকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি শিশুটির মা-বাবাকে ফোন করে জানায়, শিশুটি তাদের হেফাজতে আছে। তাকে ফেরত পেতে ৪০ লাখ টাকা দিতে হবে। ছেলেকে অপহরণ ও মুক্তিপণের বিষয় উল্লেখ করে শিশুটির বাবা গত রোববার বড়াইগ্রাম থানায় অভিযোগ করেন। এরপর ওই শিশুকে উদ্ধারের জন্য জেলা পুলিশ পাঁচটি টিম গঠন করে অভিযানে নামে।
এর মধ্যে গত রোববার রাত ১০টার দিকে সন্দেহভাজন হিসেবে বাগডোব গ্রামের কামরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে লক্ষ্মীকোল বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে কামরুল জানান, এর আগে নাটোর কারাগারে থাকা অবস্থায় বগুড়া জেলার দুপচাঁচিয়া থানাধীন এলাকার রুবেল হোসেন নামের আরেকজনের সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁর এবং তাঁরা অল্প সময়ে ধনী হওয়ার পরিকল্পনা করেন। এর মধ্যেই তাঁদের যৌথ সিদ্ধান্তে চকলেট দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ওই শিশুকে নিজস্ব ভাড়ায় চালিত প্রাইভেটকারে তুলে নেন কামরুল। পরে হাটিকুমরুল সড়কে এসে শিশুটিকে রুবেলের হাতে তুলে দেন তিনি।
এরপর দুপচাঁচিয়ায় অভিযান চালিয়ে রুবেলের স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। পরে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল ঢাকায় অভিযান চালিয়ে রুবেলের বাসা থেকে অপহৃত শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় রুবেল কৌশলে পালিয়ে যান। পরে অসুস্থ অবস্থায় শিশুটিতে রাজারবাগ পুলিশ লাইন হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এরই মধ্যে আজ মঙ্গলবার শিশুটিকে অভিভাবকের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এরই মধ্যে অপরহরণের কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেটকারটি জব্দ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।