নিখোঁজের ৩ দিন পর স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার
রাজশাহীর বাঘায় তিন দিন আগে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ ছিল অষ্টম শ্রেণির ছাত্র রাজিব হোসেন (১৫)। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার কলিগ্রাম এলাকার পদ্মানদী থেকে রাজিবের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রাজিব উপজেলার চকছাতারী গ্রামের আবদুর রাজ্জাকের ছেলে। সে উপজেলা সদরে ইসালামী একাডেমি উচ্চ বিদ্যালয় কারিগরি ও কৃষি কলেজে লেখাপড়া করত।
পুলিশ জানায়, স্থানীয়রা নদীতে মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেন। পরে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এর আগে নিখোঁজের ঘটনায় রাজিবের বোন চায়না খাতুন বাদী হয়ে বাঘা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
চায়না খাতুন জানান, গত বুধবার দুপুরের খাবার খেয়ে বাড়ি থেকে বের হয় রাজিব হোসেন। সন্ধ্যায় বাড়িতে ফিরে না আসায় বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুজি করেও পাওয়া যায়নি। পরে থানায় ডায়েরি করেন তিনি।
চায়না খাতুন বলেন, কাজের সুবাদে ঢাকায় থাকেন তার মা-বাবা। রাজিব নিজের বাড়িতে নানির সঙ্গে থাকত। তার পীড়াপীড়িতে নিখোঁজের কয়েক দিন আগে একটি স্মার্টফোন কিনে দেওয়া হয়েছিল। তাঁর ধারণা—ফোনের জন্য রাজিবকে হত্যা করা হয়েছে।
নানি সুরজান বেগম বলেন, ‘ফোন কেনার পর থেকে রাজিব তার বন্ধুদের সঙ্গে এখানে সেখানে ঘুরে বেড়াত। বুধবার দুপুরের খাবার খেয়ে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর ফিরে এলো লাশ হয়ে।’
বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কমৃকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, মরদেহের গলায় ও মুখের মধ্যে রশি ঢোকানো অবস্থায় পাওয়া গেছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ের জন্য মরদেহ রামেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, কী কারণে স্কুলছাত্রকে হত্যা করে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে—সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।