পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছার প্রতিধ্বনি : রিজভী
প্রধানমন্ত্রীর মনের ইচ্ছার প্রতিধ্বনি হচ্ছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের বক্তব্য মন্তব্য করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের মুখপাত্র হচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।’
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে, জ্বালানি তেল ও দ্রব্যমূল্যের সীমাহীন মূল্যবৃদ্ধি এবং ভোলায় শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশের গুলিতে ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা নিহতের প্রতিবাদে ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইউট্যাব) মানববন্ধনে রিজভী এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘তিনি (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) এত বড় কথা বললেন, আর বলবেনই না কেন? একজন রসিক মানুষ আমাকে বললেন—পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাণ্ডজ্ঞানহীন হয়ে পড়েছেন। দেশের এত লুটপাট করে স্বর্গে বসে তিনি মনে করছেন সবাই স্বর্গে আছে।’
রিজভী বলেন, ‘ভারত একটি বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশ। আমাদের পূর্বপুরুষেরা ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে একসঙ্গে লড়াই করেছেন। স্বাধীনতার পর থেকে তারা গণতন্ত্র চর্চা করেছে। আমার বিশ্বাস, তারা সেই ভুল করবেন না। এর আগে ২০১৪ সালের নির্বাচনে শেখ হাসিনার পক্ষে এরশাদকে রাজি করানোর জন্য সুজাতা সিংকে পাঠানো হয়েছিল, যা সারা বিশ্ব দেখেছে। এটা কিছুটা হলেও গণতান্ত্রিক দেশ ভারতের মান ক্ষুণ্ন হয়েছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কড়া সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘যারা নিজেদের স্বার্থে সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করতে পারে, তারা সবকিছুই করতে পারে। এর আর একটা কারণ আছে, এই মোমেন সাহেব ছাত্র অবস্থায় আইয়ুব খানের ছাত্র সংগঠন করতেন। তিনি অখণ্ড পাকিস্তান বিশ্বাস করতেন। এখন আওয়ামী লীগের যোগ দিয়েছেন। তাঁর অতীতের যে নীতি, সে নীতির সঙ্গে আওয়ামী লীগের নীতি মেলে না। তাই আওয়ামী লীগের নীতি বেশি করে প্রচার করার জন্য এবং নিজেকে বড় আওয়ামী লীগার করার জন্য এসব কথা বলছেন।’
রিজভী আরও বলেন, ‘তাদের এক মন্ত্রী বলেছেন—এটা তাদের দলের না, ব্যক্তিগত কথা। কিসের ব্যক্তিগত কথা? আপনাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একের পর এক ফাউল কথা বলে যাচ্ছে, দেশের সার্বভৌমত্ব গণতন্ত্রকে তলানিতে নিয়ে যাচ্ছে, আর আপনারা বলছেন ব্যক্তিগত। তাকে তো সঙ্গে সঙ্গে বরখাস্ত করা উচিত ছিল। কিন্তু আপনারা তা করছেন না। কারণ, তাকে আপনাদের দরকার আছে। আপনাদের এবং প্রধানমন্ত্রীর মনের ইচ্ছার প্রতিধ্বনি প্রকাশিত হচ্ছে তাঁর বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে।’
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘আমাদের কাছে অশনিসংকেত মনে হচ্ছে। এরা আওয়ামী লীগ খুব খারাপ কিছু করার চেষ্টা করছে।’
ইউট্যাবের সভাপতি এবিএম ওবায়দুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ড. মোরশেদ হাসানের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহসম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার রিয়াজুল ইসলাম রিজু, সহ তথ্যবিষয়ক সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন শ্যামল প্রমুখ।