পাটুরিয়ায় ফেরিডুবি : ক্ষতিপূরণ চান ট্রাকমালিকেরা
মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটে ‘আমানত শাহ’ ফেরি থেকে নদীতে ডুবে যাওয়া পণ্যবাহী যানবাহনের মালিকেরা ক্ষতিপূরণের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মানববন্ধনে অংশ নেন ক্ষতিগ্রস্ত ট্রাকমালিকেরা।
পটুয়াখালী থেকে ঢাকাগামী একটি ট্রাকের মালিক মো. শোয়েব মানববন্ধনে বলেন, ‘আমার গাড়িতে প্রায় ৫০ লাখ টাকা দামের কাগজ ছিল। গাড়ির দাম ৪০ থেকে ৪৫ লাখ। সে অনুযায়ী ক্ষতির পরিমাণ তো অনেক। আমরা ক্ষতিপূরণ না পেলে পথে বসে যাব। আমাদের আর কোনো গতি থাকবে।’
ট্রাকমালিক শোয়েব আরও বলেন, ‘কিছু মালামাল আছে পানির সঙ্গে দ্রবীভূত হয়ে একেবারে শেষ হয়ে গেছে। ওটা ফেরত পাওয়ার মতো নয়। আনুমানিক হিসাব করলে, প্রতিটি গাড়ির দাম ৪০ থেকে ৪৫ লাখ টাকা। মালামালসহ ধরলে ৮০ থেকে ৯০ লাখ।’
তবে, ক্ষতিগ্রস্ত গাড়ির মালিকদের ক্ষতিপূরণের ব্যাপারে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ করপোরেশনের (বিআইডব্লিটিসি) উপমহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) জিল্লুর রহমান।
অন্যদিকে, আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টায় চতুর্থ দিনের মতো উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা।
এ ছাড়া সকাল ১০টায় উদ্ধার অভিযানে যুক্ত হয়েছে শিমুলিয়া থেকে আসা অপর উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম।
আজ সকাল থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত দুটি মোটরসাইকেল ও একটি কাভার্ডভ্যান উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও একটি ট্রাক উদ্ধার করতে কাজ করছে হামজা। অন্যদিকে, নদীর কিনারে পানিতে রাখা চারটি ট্রাক ও একটি কাভার্ড ভ্যান টেনে উপরে তুলতে কাজ করছে উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম।
এরপর ফেরি উদ্ধারের কাজ শুরু হবে। সেজন্য বেসরকারি উদ্ধারকারী জাহাজ আনা হবে বলে জানা গেছে।
বিআউডব্লিউটিএ’র পরিচালক (উদ্ধার) ফজলুর রহমান বলেন, ‘আজকের মধ্যেই পানিতে নিমজ্জিত গাড়িগুলোকে উদ্ধার করা সম্ভব হবে।