পুলিশ পরিচয়ে ঢাবি ছাত্রীকে তুলে নিয়ে ছিনতাই, গ্রেপ্তার ৪
রাজধানীর তুরাগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী অপহরণ ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় বিদেশি পিস্তলসহ চারজন ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা উত্তরা বিভাগ। গতকাল শনিবার রাজধানী ও এর আশপাশের জেলা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ রোববার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন—শাকিল আহম্মেদ রুবেল, আকাশ শেখ, দেলোয়ার হোসেন ও হাবিবুর রহমান।
অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, দুই রাউন্ড গুলি, একটি ম্যাগজিন, একটি ওয়্যারলেস সেট, দুটি পুলিশ স্টিকারযুক্ত মোটর সাইকেল ও ছিনতাই করা ছয়টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ‘গত ২৫ আগস্ট দুপুরে ঢাবির গাড়ি থেকে এক ছাত্রী মিরপুর বাসায় যাওয়ার জন্য কল্যাণপুর বাস স্ট্যান্ডে নামেন। কিছুদূর যাওয়ার পর শাহী মসজিদের সামনে গেলে অপরিচিত মোটরসাইকেলচালক পুলিশ পরিচয়ে তাকে থানায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলেন। কিন্তু, নিয়ে যান দিয়াবাড়ির নির্জন এলাকায়। সেখানে ছুরির ভয় দেখিয়ে তার গলার চেইন, কানের দুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কাগজ নিয়ে যায়। তাঁর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ওইদিন তুরাগ থানায় একটি মামলা করা হয়।’
গোয়েন্দা প্রধান বলেন, ‘মামলা হওয়ার পর থানা পুলিশের পাশাপাশি ডিবির উত্তরা বিভাগের ডিসি শফিকুল আলমের নির্দেশনায় একটি টিম কাজ শুরু করে। গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযুক্তদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়।’
হারুন অর রশীদ জানান, গ্রেপ্তার শাকিল আহম্মেদ রুবেল ছিনতাই করা মোটরসাইকেলে পুলিশের স্টিকার লাগিয়ে ওয়্যারলেস সেট নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ও স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীদের টার্গেট করতেন। একাকি পেয়ে কাছে অবৈধ মাদক আছে বলে তাকে মোটরসাইকেলে উঠিয়ে নির্জন কোথাও নিয়ে যেতেন। পরে তার কাছে থাকা দামী জিনিসপত্র ছিনিয়ে নিতেন এবং অশালীন আচরণ করতেন। এটা তার পেশা ও নেশা ছিল।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এ পর্যন্ত শাকিল আহম্মেদ রুবেল দেড় হাজারেরও বেশি ছিনতাইয়ের ঘটনা ও ৫০ এর বেশি অশালীন আচরণের ঘটনা ঘটিয়েছে। এ তথ্য তিনিই ডিবির কাছে স্বীকার করেছেন। তার নামে ছয়টি দস্যুতার মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। গ্রেপ্তার হওয়া বাকি তিনজন তার সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন।
হারুন অর রশীদ বলেন, ‘গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে ডিএমপির আদাবর থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা করা হয়। তাদের রিমান্ডের আবেদনসহ আদালতে পাঠানো হয়েছে।’