৪২ লাখ টাকাসহ ধরা!
বিদেশে কর্মী পাঠানোর নামে অর্থ আত্মসাৎকারী প্রতারক চক্রের এক সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ। আজ বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে টংগী থানার খা পাড়া বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ বুধবার রাতে বিষয়টি জানিয়েছে ডিএমপির জনসংযোগ শাখা। গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম হৃদয় রাফসানি শাহজাহান ওরফে কামরুল ইসলাম (৪২)।
ডিএমপি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তারের সময় প্রতারণার মাধ্যমে আদায় করা ৪২ লক্ষ পাঁচ হাজার ২০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া ৩০টি বাংলাদেশী পাসপোর্ট, ৪৫টি বেনামে নিবন্ধিত সিম, বিমানের সাতটি নকল টিকেট ও নয়টি বিভিন্ন মডেলের মুঠোফোন জব্দ করা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রতারক চক্র ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে উত্তরা ৯ নম্বর সেক্টর এলাকায় সাহাজাদি এন্টারপ্রাইজ নামে বিদেশে কর্মী প্রেরণের একটি প্রতিষ্ঠান চালু করে। প্রতারক চক্রটি বিদেশে গমনে ইচ্ছুক কর্মীদের লক্ষ্য করে বিভিন্ন প্রতারণার ফাঁদ পাতে। তারা ফেসবুকের মেসেঞ্জার গ্রুপের মাধ্যমে স্বল্প ব্যয়ে বিদেশে দক্ষ কর্মী প্রেরণ করা ও ভালো চাকরির কথা বলে প্রলুদ্ধ করতে প্রচারণা চালায়।
ডিএমপি জানায়, গত ২ নভেম্বর আমিরুল ইসলাম অনলাইনে তাদের প্রচারণা দেখে তাদের সাথে যোগাযোগ করে ও তাদের কথা মতো ওই প্রতিষ্ঠানে যান। প্রতারক চক্র তাকে মেকানিক্যাল কর্মী হিসেবে তাইওয়ানে পাঠাবে বলে জানায়। প্রতারক চক্রকে তাদের কথা অনুযায়ী এক লাখ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করেন। প্রতারক চক্রটি আমিরুলসহ আরও ১২ জনকে একসাথে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে তাদের কাছ থেকে ২৬ লাখ ৬৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় এবং তাদেরকে ভিসা ও বিমানের টিকেট প্রদান করে। পরবর্তীতে তারা জানতে পারেন ভিসা ও বিমানের টিকেটগুলো জাল। এ ঘটনায় আমিরুল ইসলামের অভিযোগের প্রেক্ষিতে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি প্রতারণার মামলা করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মামলাটি তদন্ত করতে গিয়ে হৃদয় রাফসানি শাহজাহান ওরফে কামরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে সময় কামরুলের কাছ থেকে আত্মসাৎ করা ২২ লাখ পাঁচ হাজার ২০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তার স্ত্রীর কাছ থেকে ভুক্তভোগীদের নিকট থেকে আত্মসাৎকৃত আরেও ২০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়। কামরুলকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।