প্রথম টিকা নিলেন নার্স রুনু কোস্তা
রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু ভেরোনিকা কোস্তা বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম টিকা নিয়েছেন।
আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে টিকা প্রয়োগ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার পরই ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড–অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার প্রথম ডোজ নেন রুনু ভেরোনিকা কোস্তা। টিকা নেওয়ার এই দৃশ্য প্রত্যক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তিনি নার্স রুনুকে সাহস ও উৎসাহ জোগান।
টিকা নেওয়ার আগ মুহূর্তে রুনুকে উদ্দেশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভয় পাচ্ছ না তো!’
জবাবে রুনু বলেন, ‘না।’
পাশাপাশি করোনাকালীন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রোগীদের সেবা দেওয়ার জন্য শেখ হাসিনা দেশের সব স্বাস্থ্যকর্মীকে অভিনন্দন জানান।
রুনুর পরই টিকা নেন চিকিৎসকদের প্রতিনিধি মেডিসিন কনসালট্যান্ট ডা. আহমেদ লুৎফুল মোবেন। তারপর একে একে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক (ডা.) নাসিমা সুলতানা, পুলিশ সদস্যদের প্রতিনিধি হিসেবে মতিঝিল ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তা দিদারুল ইসলাম, সেনাসদস্যদের প্রতিনিধি হিসেবে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম ইমরান হামিদ।
কুর্মিটোলা হাসপাতালে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রথমে স্বাগত বক্তব্য দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বক্তব্যে বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে সব কিছু স্থবির হয়েছিল। আমাদের অর্থনীতিও স্থবির হয়েছিল। সেই অবস্থা থেকে আমরা এগিয়ে গেছি। এক সময় করোনাভাইরাসের টিকা আবিষ্কারের কাজ চলছিল। আমরা তখন খোঁজ নিচ্ছিলাম কোথা থেকে দ্রুত করোনার টিকা সংগ্রহ করা যায়। তখন আমরা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার সন্ধান পাই। আমরা বেক্সিমকোকে দ্রুত চুক্তি করতে বলি। টিকার জন্য আমরা এক হাজার কোটি টাকা আলাদা বরাদ্দ রেখেছিলাম। বলেছিলাম, যত টাকা লাগবে দেব। আমাদের দেশের মানুষের সুরক্ষাটাই আমাদের লক্ষ্য।
শেখ হাসিনা বলেন, টিকা আনার জন্য আমরা যে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি করেছিলাম, আজকে যাত্রা শুরু করেছি।