প্রযুক্তির উৎকর্ষতার যুগে কারও কণ্ঠ রোধ করা যায় না : রিজভী
প্রযুক্তির এই উৎকর্ষতার যুগে কারও কণ্ঠ রোধ করা যায় না মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য দেশে প্রচার না হলে জনগণ আরও উদ্বুদ্ধ হয়ে এই সরকারের পতন ঘটাবে।
আজ রোববার (১৪ মে) জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলকে নিয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন রিজভী।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, “এই সরকার আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে আমাদের এই চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনের যিনি নেতা, তার বক্তব্য যাতে প্রকাশ না হয় তার জন্য আইন করেছে। প্রযুক্তির এই উৎকর্ষতার যুগে কারও কণ্ঠ রোধ করা যায় না। হয়তো কণ্ঠরোধ করার জন্য অনেক কালা-কানুন তৈরি করেছে শেখ হাসিনা, তবুও কণ্ঠ রোধ করতে পারবে না।”
রিজভী বলেন, “বিরোধীদলকে দমন করার জন্য তাদের কণ্ঠরোধ করার জন্য বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রেখেছে সরকার। বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি করেছে একটি ভয়ঙ্কর অগণতান্ত্রিক নির্বাচন করার জন্য। তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে দিনের ভোট রাতে করেছে। এই যে বেগম খালেদা জিয়া বন্দি, তারেক রহমানের কণ্ঠরোধ করা; এটা অগণতান্ত্রিক সরকার তাদের ভয় থেকে করেছে।”
ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, “আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন—‘আদালত থেকে তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার, প্রকাশ করা নিষেধ করা হয়েছে। তারপরেও তার বক্তব্য মানুষ যাতে শুনতে না পায় তার জন্য সরকারকে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছি।’ এটা গণবিচ্ছিন্ন সরকারের একজন মন্ত্রীর বক্তব্য। তারেক রহমানের বক্তব্য দেশে প্রচার হলে দেশের জনগণ আরও উদ্বুদ্ধ হয়ে এই সরকারকে পতন করবে, এই ভয়ে ওবায়দুল কাদেররা এই ধরনের হুমকি দিচ্ছেন।”
সরকারের উদ্দেশে বিএনপির এই মুখপাত্র আরও বলেন, “আজকের এই দিনে আপনারা হুমকিতে তারেক রহমানের কণ্ঠস্বরকে স্তব্ধ করতে পারবেন না। জনগণের প্রতি তার যে দায়িত্ব-কর্তব্য, জাতীয় নেতা হিসেবে তার যে অঙ্গীকার, সেই অঙ্গীকারের কথা এদেশের জনগণ দলের নেতাকর্মীরা কোনো না কোনোভাবে শুনবে। আপনাদের হুঙ্কারে-হুমকিতে সেটা কোনোভাবেই বন্ধ হবে না।”
সরকারের বিরুদ্ধে গুম, খুনের অভিযোগ তুলে রিজভী বলেন, “আমাদের কত লোককেই তো গুম করা হয়েছে। ইলিয়াস আলী সাবেক সংসদ সদস্য ছিলেন, তাকে গুম করা হয়েছে। গাজীপুরের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর বলেছেন, ‘আমি খুব আতঙ্কের মধ্যে আছি। আমাকে গুম করা হতে পারে।’ আওয়ামী লীগের একজন মেয়র সে-ও জানে সে যদি স্বাধীনভাবে কোনো কিছু করতে যায়, তাহলে তার গুম হওয়া লাগতে পারে। সুতরাং আওয়ামী লীগ যে গুম করে এটা তার নেতারাই বলে দিচ্ছে। দলের বিরুদ্ধে কোনো কাজ করলে তাকে শোকজ করা হয়, বহিষ্কার করা হয়; কিন্তু এখন তারা জানে গণতান্ত্রিকভাবে স্বাধীনভাবে কোনো কথা বললে বিরোধীদলের নেতাকর্মীদেরকে যেভাবে গুম করা হয়েছে, আমাদের ক্ষেত্রেও তাই হবে।”
মৎস্যজীবী দলের উদ্দেশে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘মৎস্যজীবী দল সব সময় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা আন্দোলনে ছিল। সামনের আন্দোলনগুলোতে আরও উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজ করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’