প্রার্থীরা ইমোশনাল হলে আহত-নিহতের ঘটনা ঘটে : ইসি সচিব
বিকেলে শেষ হয়েছে ১৬০টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) ও নয়টি পৌরসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। এখন চলছে গণনা। এ নির্বাচনে গতকাল রোববার থেকে আজ সোমবার পর্যন্ত মোট তিনজন নিহত হয়েছেন।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার জানালেন, প্রার্থীরা খুব বেশি ইমোশনাল হয়ে যায়, ফলে ঘটে আহত-নিহতের মতো দুর্ঘটনা।
আজ সোমবার বিকেলে ভোটগ্রহণ শেষে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মলনে ইসি সচিব এ মন্তব্য করেন।
এ নির্বাচনকে ঘিরে গতকাল রোববার রাতে বাগেরহাটে এক বৃদ্ধা ও সোমবার কক্সবাজারে দুজন নিহত হন। এ বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেন, ‘একটি বিষয় মনে রাখতে হবে, ইউপি নির্বাচন কিন্তু একেবারে রুট পর্যায়ে হয়। নির্বাচনী আমেজ থাকে। প্রার্থীরা এত ইমোশনাল হয়ে যান, যে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন। এসব করতে গিয়ে অকস্মাৎ তারা নিজেদের মধ্যে আহত-নিহতের ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেন। এটি ঘটে এবং ঘটেছে।’
ইসি সচিব বলেন, ‘সহিংসতা তখনই বন্ধ হবে, আমাদের প্রার্থী যারা তারা তো খুব বেশি ইমোশনাল হয়ে যায়। যেমন যে তিনটি ঘটনার কথা আপনারা জেনেছেন, সেটি তাদের দুই গ্রুপের মধ্যে হয়ে মহেশখালীতে এই ঘটনাটি ঘটেছে। আর কুতুবদিয়ায় যেটা ঘটেছে, আমাদের প্রিজাইডিং অফিসারের কাছ থেকে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিতে গিয়ে। সেখানে পুলিশ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রিজাইডিং অফিসারের নির্দেশে গুলি করেছে। এটি তো করতেই হবে।’
হুমায়ুন কবীর খোন্দকার আরও বলেন, ‘ইউপি নির্বাচনে কিন্তু দলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। এলাকার সব মানুষ অংশগ্রহণ করে। তারা খুব বেশি ইমোশনাল হয়ে যায়। তখনই এই দ্বন্দ্বগুলো হয়ে যায়।’
ভোটে হতাহতদের বিষয়ে ইসি সচিব বলেন, আপনারা জানেন এটি আমাদের জন্য খুব বেদনাদায়ক, দুঃখজনক ঘটনা, যে মহেশখালী এবং কুতুবদিয়ায় একজন করে দুজন নিহত হয়েছে। ২৪ জন লোক বিভিন্ন জায়গায় প্রার্থীদের নিজেদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ায় আহত হয়েছেন। এ ছাড়া মোটামুটি সব জায়গায় আমরা যতটুকু খবর পেয়েছি নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হয়েছে।’
হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেন, ‘আপনারা জানেন পাঁচটি ভোটকেন্দ্রে অনিয়মের কারণে ভোটগ্রহণ বন্ধ করা হয়েছে। ইভিএমে ইউনিয়নে ৫০ শতাংশ এবং পৌরসভায় ৫০ শতাংশে বেশি ভোট পড়েছে। আর ব্যালটে ৬৫ শতাংশের হবে বলে আশা করি।
হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেন, ‘গতকাল রাতে যেটা হয়েছে, প্রার্থীদের মধ্যে দ্বন্দ্বের ফলে একজন বৃদ্ধ মহিলা কোনোভাবে ধাক্কা খেয়ে নিহত হয়েছেন বলে আমরা জেনেছি। এটি তদন্ত করে দেখার জন্য বলেছি। আমরা যা দেখলাম, যে ঘটনা ঘটেছে সেগুলো খতিয়ে দেখব। ভবিষ্যতে যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, সে বিষয়ে সজাগ থাকব।’