ট্রাম্পকে হারাতে পারতেন বাইডেন!
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, তিনি মনে করেন গত নভেম্বরের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে তিনি পরাজিত করতে পারতেন।
ইউএসএ টুডেকে দেওয়া জো বাইডেনের এক সাক্ষাৎকারের বরাত দিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
সাক্ষাৎকারে জো বাইডেন বলেছেন, নির্বাচিত হলেও চার বছর মেয়াদের এই দায়িত্ব পালনের শক্তি থাকত কিনা সেটা নিশ্চিত নই।
৮২ বছর বয়সী মার্কিন এই প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, কে জানে ৮৬ বছর বয়সে আমি কি অবস্থায় থাকব।
সুসান পেইজের সঙ্গে বিস্তারিত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এখনও ডোনাল্ড ট্রাম্পের শত্রুদের জন্য আগাম ক্ষমার কথা বিবেচনা করছেন তিনি। যার মধ্যে প্রাক্তন রিপাবলিকান কংগ্রেসওম্যান লিজ চেনি এবং প্রাক্তন সিনিয়র স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. অ্যান্থনি ফাউসিও রয়েছেন।
গতকাল বুধবার (৮ জানুয়ারি) প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে বাইডেন আরও বলেছেন, নভেম্বরের নির্বাচনের পরপরই ওভাল অফিসে তাদের বৈঠকে সম্ভাব্য ক্ষমা সম্পর্কে তিনি "ট্রাম্পের সঙ্গে খুব স্পষ্ট" ছিলেন।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, "আমি স্পষ্ট করে বলার চেষ্টা করেছি যে এর কোনো প্রয়োজন নেই। বাইডেন বলেন, ট্রাম্প কোনো বাধা দেননি, বরং "শুধুমাত্র শুনেছেন।"
বাইডেন বলেছেন, ট্রাম্প তার মন্ত্রিসভার জন্য কাকে বেছে নেবেন তার ওপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নির্ভর করবে।
একই বৈঠকে সম্পর্কে বাইডেন বলেছিলেন, ট্রাম্প তার অর্থনৈতিক রেকর্ড সম্পর্কে "প্রশংসামূলক" ছিলেন।
ডেমোক্র্যাট এই নেতা আরও বলেন, "তিনি (ট্রাম্প) ভেবেছিলেন আমি ভালো রেকর্ড নিয়ে চলে যাচ্ছি।"
ইউএসএ টুডেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারটি এখন পর্যন্ত কোনো প্রিন্ট মিডিয়াকে দেওয়া বাইডেনের শেষ সাক্ষাৎকার।
গত বছরের ২১ জুলাই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর পর থেকে জো বাইডেন আর কোনো সংবাদ সম্মেলন করেননি। এমনকি তার মিডিয়া একসেসও হোয়াই হাউস সংরক্ষিত করে রাখে।
সাক্ষাৎকারে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট তার ছেলে হান্টার বাইডেনকে দেওয়া পূর্ণ এবং নিঃশর্ত ক্ষমার পক্ষেও কথা বলেছেন, যিনি কর ফাঁকি এবং অবৈধভাবে বন্দুক কেনার দুটি ফৌজদারি মামলার জন্য সাজা ভোগ করছিলেন। যদিও বারবার জোর দিয়েছিলেন যে তিনি তা করবেন না।
১৯৭২ সালে বাইডেন প্রথম মার্কিন সিনেটর হিসেবে ক্যাপিটল হিলে এসেছিলেন। তার বয়স এবং মানসিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে প্রেসিডেনশিয়াল ইলেকশনের দৌড় থেকে সরে যাওয়ার অনিচ্ছার জন্য তার নিজের দল থেকেই সমালোচনার সম্মুখীন হন তিনি।
ইউএসএ টুডের সঙ্গে কথা বলার সময় বাইডেন বলেছিলেন, তিনি বিশ্বাস করেছিলেন যে "পোলিংয়ের ভিত্তিতে" তিনি জয়ী হবেন। তবে তিনি এও স্বীকার করেছেন যে তার বয়স তাকে প্রভাবিত করতে পারতো।
"যখন ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন, তখন আমি সত্যিই ভেবেছিলাম যে আমার কাছে তাকে হারানোর সেরা সুযোগ ছিল। কিন্তু আমি ৮৫-৮৬ বছর বয়সে প্রেসিডেন্ট হতে চাইনি।
ট্রাম্পের কাছে ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের পরাজয়ের পরে ডেমোক্র্যাটিক দলের উচ্চপদস্থ সদস্যরা, যেমন প্রাক্তন হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বলেছিলেন, বাইডেন আরও আগে নির্বাচন থেকে সরে গেলে ডেমোক্র্যাটরা নির্বাচনে আরও ভালো ফল করতে পারত।