বাগেরহাটের শরণখোলায় ভস্মিভূত ২১ দোকান
বাগেরহাটে শরণখোলায় অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে ২১টি দোকান। আজ শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে উপজেলরা রাজাপুর বাজারে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ অগ্নিকাণ্ডে প্রায় তিন কোটি টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকরা।
বগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন, উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রায়হান উদ্দিন শান্ত, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নুর-ই-আলম সিদ্দিকী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শনের সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য মিলন ব্যক্তিগত তহবিল থেকে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের নগদ ৫০ হাজার টাকা সহায়তা দিয়েছেন।
বাগেরহাটের শরণখোলা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কর্মকর্তা মো. শামসুর রহমান বলেন, মোড়েলগঞ্জ ও শরণখোলার দুটি ইউনিটের সমন্বয়ে শরণখোলার রাজাপুর বাজারে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন তারা। তাদের তড়িৎ ব্যবস্থাপনায় ওই বাজারের আরও প্রায় শতাধিক দোকান রক্ষা করা সম্ভব হয়েছে।
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকরা জানান, একটি ইলেকট্রনিক্সের দোকানের বৈদ্যুতিক শটসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা কার হচ্ছে। ভোরে আগুন লাগায় ওই বাজারের বেশিরভাগ দোকানি তখন তাঁদের বাড়িঘরে ছিলেন। আগুনের খবর পেয়ে তাঁরা ছুটে এসে দেখেন, মুহূর্তের মধ্যেই সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
ওষুধের দোকানমালিক বাদল মণ্ডল জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি তাঁর দোকানে দুই লাখ টাকার ওষুধ তুলেছিলেন। কিন্তু, তার সবই শেষ হয়ে গেছে।
লন্ডি দোকানি গোবিন্দ দাস জানান, তার সারা জীবনের সঞ্চয় দোকানে রাখা তিন লাখ টাকা পুড়ে ছাই।
দোকানি পুলিন বৈদ্য জানান, তার প্রায় কোটি টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
রাজাপুর বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডে ২১টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। দোকানগুলোর কোনো মালামাল কেউ রক্ষা করতে পারেনি। সরকারি সহায়তা না পেলে তাঁরা আর কোনো দিন ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন না।’
বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নুর-ই-আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘উপজেলা পরিষদ থেকে ইতিমধ্যে পাঁচ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের মাধ্যমে পরবর্তী সময়ে সহায়তা প্রদানের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’