‘বায়ান্নর রক্তস্নাত আত্মত্যাগ ছিল অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বায়ান্নর রক্তস্নাত চেতনা ও আত্মত্যাগ ছিল অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন এবং
বাংলাদেশের প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামের পেছনেই রয়েছে অধিকার হারানোর বেদনা। আর, সে বেদনা থেকেই (হয়েছে) অধিকার প্রতিষ্ঠার রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম।
রুহুল কবির রিজভী আজ রোববার সকালে রাজধানীতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দলের পক্ষ থেকে বায়ান্নর ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘স্বাধীনতা পরবর্তী (সময়ে) আপনারা দেখেছেন স্বাধীনতার মূল যে স্পিরিট (চেতনা), সেই গণতন্ত্রকে ভুলুণ্ঠিত করা হয়েছে একদলীয় শাসনের মাধ্যমে সব দল বন্ধ করে, সব গণমাধ্যম বন্ধ করে।’
রুহুল কবির রিজভী আরো বলেন, ‘বিএনপি যখনই ক্ষমতায় এসেছে, তখনই গণতন্ত্রের মুক্তধারা বইয়ে দিয়েছে। বাকশাল থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এবং মানুষের কণ্ঠের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তাঁরই সহধর্মিণী খালেদা জিয়া ৯ বছর সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে আপসহীন লড়াই করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন। এই গণতন্ত্রের প্রতীক খালেদা জিয়াকে বন্দি করা হয়েছে।’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা রুহুল কবির রিজভী আরো বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে বন্দি করেছে কারণ তা না করলে দিনের ভোট রাতে করা যেত না। একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসন, মাফিয়াতন্ত্র, ক্যাসিনোতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যেত না। সেগুলো প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বলেই আজ তিন বছর খালেদা জিয়া বন্দি।’
রিজভী আরো বলেন, ‘বায়ান্নর যে রক্তস্নাত চেতনা, সেদিনের যে আত্মত্যাগ, সেটা আসলে ছিল অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন। সেটা আজও আমাদের উদ্বুদ্ধ করে, আমাদের সাহসী করে। আজও আমাদের যে অধিকার হারানো, গণতন্ত্র হারানো, কথা বলার স্বাধীনতা হারানো— সেটা প্রতিষ্ঠার জন্য জোটবদ্ধভাবে সংগ্রাম করছি, কথা বলছি, আমরা মামলা, হামলা, গ্রেপ্তার, গুম ও খুনকে বরণ করে নিয়েও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি।’
‘বায়ান্নর চেতনা আমাদের চেতনাকে শাণিত করেছে, ধারালো করেছে বলেই আজও আমরা দৈত্যের ন্যায় একটা কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করে বিএনপিসহ বিরোধী দল, বিরোধীমত এক কাতারে দাঁড়িয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করছি। এই চেতনার উৎসভূমি হচ্ছে বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন’, যোগ করেন রুহুল কবির রিজভী।