বিএনপির উসকানিতেও আমরা সংযত : তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির উসকানিমূলক বক্তব্যের পরও আমাদের দলকে সংযত আচরণ করার জন্য আমরা নির্দেশ দিয়েছি। কিন্তু, ঢাকা শহর কিংবা দেশের অন্য কোনো জায়গায় বিশৃঙ্খলা করলে জনগণই বিএনপিকে প্রতিহত করবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা বিএনপি সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা যখন ক্ষমতায়, বিএনপির সমাবেশে একটি পটকাও ফোটেনি। তারা যাতে সুন্দরভাবে সমাবেশ করতে পারে, সেই ব্যবস্থাই সরকার সব সময় নিয়েছে।’
আজ শুক্রবার ৫৭তম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে ক্যাম্পাসের জারুলতলায় আয়োজিত বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে বিএনপি মহাসচিবের মন্তব্য ‘হেফাজতের মতো বিএনপিকে দমন করা যাবে না’ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এ সব কথা বলেন।
ড. হাছান আরও বলেন, ‘আমরা বিএনপিকে কখনো দমনের নীতি অবলম্বন করিনি। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন আমাদেরকে কোনো সমাবেশ করতে দেওয়া হতো না। আমাদের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দুপাশে কাঁটাতারের বেড়া থাকত। সেই বেড়ার বাইরে আমরা যেতে পারতাম না।’
ড. হাছান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাপ্তি এবং সুনাম নির্ভর করে কয়েকটি বিষয়ের ওপর। শুধু পাঠদান ও ডিগ্রি প্রদানই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ হচ্ছে জ্ঞানের চর্চা করা এবং সেই জ্ঞানের চর্চার সাথে বিশ্বাঙ্গনের যোগসূত্র ঘটনো।’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সংস্কৃতির চর্চা আরও বাড়ানো প্রয়োজন জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি এখানে আসার সময় একটি ছোট্ট মানববন্ধন দেখেছি, চারুকলা ডিপার্টমেন্টকে এখানে ফিরিয়ে আনার জন্য। চারুকলা ডিপার্টমেন্টকে একেবারে এই ক্যাম্পাস থেকে সব কিছু গুটিয়ে শহরে পাঠিয়ে দেওয়া একটা ভুল সিদ্ধান্ত ছিল, এটি আমার ব্যক্তিগত অভিমত। আমি উপাচার্যের সঙ্গে আলাপ করেছি, অন্তত মাস্টার্স ডিপার্টমেন্টটা আপাতত ক্যাম্পাসে আসতে পারে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শিরীণ আখতার অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চবি বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন। অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে সম্মানিত অতিথির বক্তব্য দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম।
উপ-উপাচার্য প্রফেসর বেনু কুমার দে, চবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব আবদুল করিম, সাধারণ সম্পাদক ও চিটাগাং চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম, চট্টগ্রাম মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফ্ফর আহমদ, চাকসুর সাবেক ভিপি মাজহারুল হক শাহ ও নাজিম উদ্দিন বিশেষ অতিথি ও প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া স্বাগত বক্তার বক্তব্য দেন।